উপমহাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম জেলা ময়মনসিংহ, বর্তমানে ৬ জেলার সার্বিক সুষম উন্নয়নের লক্ষে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার । সরকারের এ উন্নয়ন ভাবনা মাঠ পর্যায়ের কী কী সমস্যা এবং কী কী উন্নয়ন করলে এ দেশটি আরো উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় সে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং মতবিনিময় সভা শনিবার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিভিন্ন কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহ উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সামনে পদক্ষেপ গ্রহণ যাতে সহজ হয় সেজন্য এই মতবিনিময় সভা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নয়ন নিয়ে এ ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিভাগে এধরনের সভা হবে। ময়মনসিংহ বিভাগ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষাণার পর কাজ শুরু হয়েছে। কোন-কোন এলাকা নিয়ে বিভাগ হবে এসব বিষয় নিয়ে কাজ হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত এ সম্পর্কে সরকারীভাবে ঘোষণা আসবে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেজবাহ উল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জসহ ৬টি জেলার জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা, ৬০ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ৪৬ পৌর মেয়রের মতবিনিময় সভায় মতামত গ্রহণ করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আব্দুল কালাম আজাদ।
পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার সাবেক ছিটমহলে গাড়াতি ডিজিটাল সাবসেন্টারের উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, যোগাযোগ অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ, পরিবেশ ও পর্যটন, আইসিটি, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, শিল্প, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, আশ্রায়ণ, একটি বাড়ি একটি খামারসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, প্রস্তাবিত ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলাধীন প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরের মাধ্যমে কীভাবে সুষম ও সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবছে সরকার।