হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে তাদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে তুলে দেয়া হয়।
দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) মিডিয়া দপ্তর বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশে যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন- সেলিম আহমেদ, মোজাম্মেল হক, করিম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, বাবলু শরিফ, মোহাম্মদ বাদল রনি, মোহাম্মদ ফরিদুল মওলা, মনিরুল ইসলাম, নাসরিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আম্বিয়া ও খায়রুল আম্বিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই দুই-তিন দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন।
এ পর্যন্ত অভিবাসন নীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বসবাস ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শতাধিক অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফেরত পাঠানো ১১ বাংলাদেশির মধ্যে কুষ্টিয়ার মোজাম্মেল হক এবং তার স্ত্রী নাসরীন সুলতানা রয়েছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বিতাড়নের শিকার বাবলু শরিফের পরিবার। তারা এভাবে বিতাড়ন না করার জন্য ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, ভুক্তভোগী অভিবাসী ও তাদের পরিবার আইনের সাহায্য নিতে পারছে না। তার আগেই বিতাড়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ওই ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদন করেছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান মাজেদা উদ্দিন।
মাজেদা উদ্দিন জানান, ব্রুকলিনের কোনি আইল্যান্ডে রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একই রেস্তোরাঁয় কাজ করা তার স্ত্রী বাধা দিয়ে ফেঁসে গেছেন; কারণ তিনিও অবৈধভাবে এদেশে বাস করছিলেন।
এ দম্পতির তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সবার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। মা-বাবার অনুপস্থিতিতে এই শিশুদের কী হবে, সেটি তুলে ধরে মানবিক কারণে তাদের মুক্তি দিতে সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।
গত মাসের শেষ সপ্তাহের ওই অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৮৯ জনের মধ্যে ৩১৭ জন গুরুতর অপরাধে জেল খেটেছে, ৬৮ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ রয়েছে, ১০৪ জন বহিষ্কারের পর ফের বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছিলেন। এছাড়া ১৮ জন চিহ্নিত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন দপ্তর।