ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবে মরু ট্রাফলের চাষবাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার
সৌদি সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীতে মরু ট্রাফলের প্রভাব হাজার বছরের পুরনো। আরবিতে এটা ফাক‘আ (faqaa) নামে পরিচিত। এটা মূলত বিরল প্রজাতির মাশরুম। মাটির তলায় থাকে বলে এটিকে গুপ্তধন বলা হয়।

মাটির সোঁদা গন্ধ এই মাশরুমে লেপ্টে থাকে। সৌদি মরুভূমিতে বিশেষ কিছু গাছের তলায় অথবা আশপাশে এগুলো গোপনে বেড়ে ওঠে। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাবারটিকে তাই তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করা হয়। চক্ষুরোগে এই মাশরুমের কষ উপকারী।
মহানবীর (সা.) একটি হাদিসেও তা বর্ণিত হয়েছে।গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ছাত্র থিওফ্রাস্টাস ট্রাফল সম্পর্কে যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে লিখেছেন, ‘খুবই জটিল একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ, খুবই অদ্ভুত উদ্ভিদ, যার থাকে না কোনো মূলকাণ্ড, আঁশ, শাখা, মুকুল, পাতা ও ফুল।’

ইউরোপিয়ান ট্রাফল চাষ করা যায় না। এটা মাটির নিচে প্রাকৃতিকভাবে গজায়।

কিন্তু মরু ট্রাফলের চাষ পদ্ধতি হালে উদ্ভাবন করা হয়েছে। সৌদি আরব এ ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে। তারা মরু ট্রাফলের ব্যবসায় অনেক দূর এগিয়ে যেতে চায়।সৌদি আরবে ব্যাপক কৃষিকাজের সুবাদে ‘প্রাধান্যের ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত আল কাশিম প্রদেশে এখন মরু ট্রাফলের চাষ হচ্ছে। গবেষকরা মনে করছেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, উর্বর ভূমি, ঝরনার পানি, জলবায়ু ও রাকরুক গুল্মের

(Mesembryanthemum cordifolium) উপস্থিতির কারণে আল কাশিম এলাকায় মরু ট্রাফল চাষ করা সম্ভব হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক আবদুল করিম সালেহ আল-রাশিদ ফাক‘আ চাষে বজ্রপাত জরুরি। বজ্রপাত ছাড়া এই মাশরুম বেড়ে উঠতে পারে না। তবে সেচব্যবস্থা বা পানি ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। চাষের সঠিক সময়কালের পাশাপাশি মাটিতে উর্বরাশক্তিও জরুরি।

রাকরুক গুল্মের কাছে রোপণের ৫০ দিন পর মরু ট্রাফল মাটি ভেদ করে ওপরে উঠতে থাকে। যেসব প্রাণী মাঠে চরে, তারা সুযোগ পেলে মরু ট্রাফল খেয়ে ফেলে। উল্লেখ্য, আল কাশিমে চার বছর ধরে ফাক‘আ উৎসব পালিত হচ্ছে। উৎসব চলে ১০ দিন ধরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে মরু ট্রাফলের চাষবাস

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সৌদি সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীতে মরু ট্রাফলের প্রভাব হাজার বছরের পুরনো। আরবিতে এটা ফাক‘আ (faqaa) নামে পরিচিত। এটা মূলত বিরল প্রজাতির মাশরুম। মাটির তলায় থাকে বলে এটিকে গুপ্তধন বলা হয়।

মাটির সোঁদা গন্ধ এই মাশরুমে লেপ্টে থাকে। সৌদি মরুভূমিতে বিশেষ কিছু গাছের তলায় অথবা আশপাশে এগুলো গোপনে বেড়ে ওঠে। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাবারটিকে তাই তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করা হয়। চক্ষুরোগে এই মাশরুমের কষ উপকারী।
মহানবীর (সা.) একটি হাদিসেও তা বর্ণিত হয়েছে।গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ছাত্র থিওফ্রাস্টাস ট্রাফল সম্পর্কে যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর আগে লিখেছেন, ‘খুবই জটিল একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ, খুবই অদ্ভুত উদ্ভিদ, যার থাকে না কোনো মূলকাণ্ড, আঁশ, শাখা, মুকুল, পাতা ও ফুল।’

ইউরোপিয়ান ট্রাফল চাষ করা যায় না। এটা মাটির নিচে প্রাকৃতিকভাবে গজায়।

কিন্তু মরু ট্রাফলের চাষ পদ্ধতি হালে উদ্ভাবন করা হয়েছে। সৌদি আরব এ ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে। তারা মরু ট্রাফলের ব্যবসায় অনেক দূর এগিয়ে যেতে চায়।সৌদি আরবে ব্যাপক কৃষিকাজের সুবাদে ‘প্রাধান্যের ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত আল কাশিম প্রদেশে এখন মরু ট্রাফলের চাষ হচ্ছে। গবেষকরা মনে করছেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ, উর্বর ভূমি, ঝরনার পানি, জলবায়ু ও রাকরুক গুল্মের

(Mesembryanthemum cordifolium) উপস্থিতির কারণে আল কাশিম এলাকায় মরু ট্রাফল চাষ করা সম্ভব হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক আবদুল করিম সালেহ আল-রাশিদ ফাক‘আ চাষে বজ্রপাত জরুরি। বজ্রপাত ছাড়া এই মাশরুম বেড়ে উঠতে পারে না। তবে সেচব্যবস্থা বা পানি ছিটানো নিশ্চিত করতে হবে। চাষের সঠিক সময়কালের পাশাপাশি মাটিতে উর্বরাশক্তিও জরুরি।

রাকরুক গুল্মের কাছে রোপণের ৫০ দিন পর মরু ট্রাফল মাটি ভেদ করে ওপরে উঠতে থাকে। যেসব প্রাণী মাঠে চরে, তারা সুযোগ পেলে মরু ট্রাফল খেয়ে ফেলে। উল্লেখ্য, আল কাশিমে চার বছর ধরে ফাক‘আ উৎসব পালিত হচ্ছে। উৎসব চলে ১০ দিন ধরে।