ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে আ. লীগের সাবেক মেয়র-চেয়ারম্যানসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৭ বার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনের সময় নাশকতার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র, উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬৪ জনকে নামীয় এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ফরিদগঞ্জ আমলি আদালত) বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেন স্বপন।

এদিন রাতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মামলার তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানাকে তদন্তসহ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী (৭৫), উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার (৬৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদার (৪৬)। বাকি আসামিরাও ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কালির বাজার রাস্তার মাথায় মোড়ের দক্ষিণ পাশে সিরাজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি পালন করছিলেন। ওই সময় ১নং আসামি খাজে আহমেদ মজুমদারসহ তার সহযোগী প্রায় দেড় শতাধিক লোক কর্মসূচি পালন করতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

একই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র এবং পিস্তল হাতে নিয়ে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে। শুধু তাই নয়, ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে উদ্ধার হয়।

মামলার বাদী এমরান হোসেন বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঠিক করে কথা বলতে পারেনি, দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। বহু নির্যাতন, হত্যা এবং মামলা-হামলার শিকার হয়েছে। যে কারণে ওই সময় এই ঘটনায় মামলা করতে পারিনি। তবে এখন পরিবেশ অনুকূলে থাকায় মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চাঁদপুরে আ. লীগের সাবেক মেয়র-চেয়ারম্যানসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম : ০৭:১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনের সময় নাশকতার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র, উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬৪ জনকে নামীয় এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ফরিদগঞ্জ আমলি আদালত) বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেন স্বপন।

এদিন রাতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মামলার তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানাকে তদন্তসহ পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী (৭৫), উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার (৬৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাজে আহমেদ মজুমদার (৪৬)। বাকি আসামিরাও ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কালির বাজার রাস্তার মাথায় মোড়ের দক্ষিণ পাশে সিরাজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচি পালন করছিলেন। ওই সময় ১নং আসামি খাজে আহমেদ মজুমদারসহ তার সহযোগী প্রায় দেড় শতাধিক লোক কর্মসূচি পালন করতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

একই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র এবং পিস্তল হাতে নিয়ে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে। শুধু তাই নয়, ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে উদ্ধার হয়।

মামলার বাদী এমরান হোসেন বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঠিক করে কথা বলতে পারেনি, দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। বহু নির্যাতন, হত্যা এবং মামলা-হামলার শিকার হয়েছে। যে কারণে ওই সময় এই ঘটনায় মামলা করতে পারিনি। তবে এখন পরিবেশ অনুকূলে থাকায় মামলা করেছি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করি।