যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন উত্তর কোরিয়ার ‘খেপাটে’ শাসক কিম জং উন। যেহেতু তিনি কিম জং, ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বাধাটা অসম্ভব নয়।
শুক্রবার কিম সরকার সিওলের উদ্দেশে আলটিমেটাম দিয়ে দিয়েছে। শনিবার পিয়ংইয়ং-বিরোধী সম্প্রচার বন্ধ না হলে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। সেইমতো দেশের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন কিম।
বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বায়েক সিয়াং-জু জানান, দু-দেশের বিভাজনরেখা বরাবর, কিছু অঞ্চলে মাইক লাগানো রয়েছে। তাতেই খেপেছে কিম সরকার। গত বৃহস্পতিবার সেই মাইক গুঁড়িয়ে দিতে, গোলাগুলিও ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। কিমের দাবি, উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রাচার চালানো হচ্ছে ওই মাইকে। তার পর থেকেই যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষমাপ্রকাশ না করলে, পূর্বনির্ধারিত সম্প্রচার বন্ধের প্রশ্নই ওঠে না।
বিরোধের সূত্রপাত, সীমান্তে দুই দক্ষিণ কোরিয়ার জওয়ানের মৃত্যুকে ঘিরে। সিওলের দাবি, উত্তর কোরিয়ার রাখা ল্যান্ডমাইনেই নিহত হন ওই ২ জওয়ান। যদিও পিয়ংইয়ং সেই বিস্ফোরণের দায় নিতে অস্বীকার করে। তার জেরেই উত্তেজনা তৈরি হয়। জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করতেও অস্বীকার করে কিম সরকার। বায়েক এদিন পার্লামেন্ট দাঁড়িয়ে বলেন, পিয়ংইয়ং আগে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করুক, তার পর আমরা সম্প্রচার বন্ধ করব। তার আগে পর্যন্ত পিয়ংইয়ং-বিরোধী প্রচার চলবেই।
দু-দেশের এই অনমনীয় অবস্থানে যুদ্ধ বাধা এখন সময়ের অপেক্ষা। মার্কিন মিলিটারি জানিয়েছে, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। এর আগে ওয়াশিংটনও উত্তর কোরিয়ার কাছে আর্জি জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে।