ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেন প্রশাসনের শেষ সময়ে বড় পদক্ষেপ, চিকিৎসা ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেল সাধারণ মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ আর প্রভাব ফেলবে না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষদিকে কনজিউমার ফিনান্সিয়াল প্রটেকশন ব্যুরো (CFPB) এই নতুন নিয়ম জারি করেছে, যা লক্ষাধিক আমেরিকানের ঋণ প্রাপ্তি সহজতর করবে।

নতুন নিয়ম অনুসারে, চিকিৎসা সম্পর্কিত ঋণ আর ক্রেডিট রিপোর্টে দেখানো হবে না। মঙ্গলবার CFPB জানিয়েছে যে ঋণদাতারা তাদের সিদ্ধান্তে চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে প্রায় ১৫ মিলিয়ন আমেরিকানের প্রায় ৪৯($) বিলিয়ন ডলার চিকিৎসা ঋণ তাদের ক্রেডিট রিপোর্ট থেকে মুছে ফেলা হবে।

CFPB-এর গবেষণা অনুযায়ী, চিকিৎসা ঋণ ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হয়। এই পরিবর্তনের ফলে বছরে প্রায় ২২,০০০ অতিরিক্ত বন্ধক অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। CFPB পরিচালক রোহিত চোপড়া বলেন, “অসুস্থ হয়ে যাওয়া মানে কারও আর্থিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়া উচিত নয়। এই নিয়ম ঋণ সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে, যারা ভুল বিলের জন্য ঋণদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।”

ভাইস প্রেসিডেন্ট (উপ-রাষ্ট্রপতি) কমলা হ্যারিস বলেছেন, “এই পদক্ষেপ আমেরিকানদের আরও সঞ্চয় করতে, সম্পদ তৈরি করতে এবং উন্নতি করতে সহায়তা করবে।” তবে, রিপাবলিকান নেতারা ক্রেডিট রিপোর্টের নির্ভুলতা দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলির প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড গ্রুপগুলো এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছে, যদিও আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এটি সমর্থন জানিয়েছে।

নতুন নিয়মটি কার্যকর হতে ৬০ দিন সময় লাগবে। তবে, বাইডেন প্রশাসনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার এটি বহাল রাখবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-নীতি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ ব্যবস্থাকে আরও মানবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে এই নিয়মের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবু এটি আমেরিকানদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাইডেন প্রশাসনের শেষ সময়ে বড় পদক্ষেপ, চিকিৎসা ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেল সাধারণ মানুষ

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ আর প্রভাব ফেলবে না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষদিকে কনজিউমার ফিনান্সিয়াল প্রটেকশন ব্যুরো (CFPB) এই নতুন নিয়ম জারি করেছে, যা লক্ষাধিক আমেরিকানের ঋণ প্রাপ্তি সহজতর করবে।

নতুন নিয়ম অনুসারে, চিকিৎসা সম্পর্কিত ঋণ আর ক্রেডিট রিপোর্টে দেখানো হবে না। মঙ্গলবার CFPB জানিয়েছে যে ঋণদাতারা তাদের সিদ্ধান্তে চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন না। এর ফলে প্রায় ১৫ মিলিয়ন আমেরিকানের প্রায় ৪৯($) বিলিয়ন ডলার চিকিৎসা ঋণ তাদের ক্রেডিট রিপোর্ট থেকে মুছে ফেলা হবে।

CFPB-এর গবেষণা অনুযায়ী, চিকিৎসা ঋণ ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হয়। এই পরিবর্তনের ফলে বছরে প্রায় ২২,০০০ অতিরিক্ত বন্ধক অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। CFPB পরিচালক রোহিত চোপড়া বলেন, “অসুস্থ হয়ে যাওয়া মানে কারও আর্থিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়া উচিত নয়। এই নিয়ম ঋণ সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে, যারা ভুল বিলের জন্য ঋণদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।”

ভাইস প্রেসিডেন্ট (উপ-রাষ্ট্রপতি) কমলা হ্যারিস বলেছেন, “এই পদক্ষেপ আমেরিকানদের আরও সঞ্চয় করতে, সম্পদ তৈরি করতে এবং উন্নতি করতে সহায়তা করবে।” তবে, রিপাবলিকান নেতারা ক্রেডিট রিপোর্টের নির্ভুলতা দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলির প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড গ্রুপগুলো এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছে, যদিও আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এটি সমর্থন জানিয়েছে।

নতুন নিয়মটি কার্যকর হতে ৬০ দিন সময় লাগবে। তবে, বাইডেন প্রশাসনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার এটি বহাল রাখবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-নীতি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ ব্যবস্থাকে আরও মানবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে এই নিয়মের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবু এটি আমেরিকানদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।