ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর পাঁচটি পানীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১. লেবুর রস
লেবুর রস ওজন কমানোর জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। লেবুর রস আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এর ফলে খাবার হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগ পায় না।

লেবুর রস ব্যবহারের উপায়
১. তিন চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু এবং দেড় চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান। যদি গোটা গোলমরিচ ব্যবহারের আগে গুঁড়ো করে নিতে চান, সেক্ষেত্রে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ মাপে গোলমরিচ গুঁড়ো নিন।
২. সকাল বেলা খালি পেটে এটি পান করুন।
৩. তিন মাস টানা এই মিশ্রণটি পান করতে হবে উপকার পেতে।

 

২. আপেল সিডার ভিনিগার
এই উপাদানটি দেহের ওজন কমাতে দারুণ কাজে লাগে। যদিও ঠিক কিভাবে এটি ওজন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে, তা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ।

আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহারের উপায়
১. এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মেশাতে হবে।

প্রতিদিন সকালে খাওয়ার আগে এটি পান করতে হবে।
২. এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, দিনে দু চা চামচের বেশি আপেল সিডার ভিনিগার পান করা একদমই উচিত নয়। এতে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে এবং হাড়ে মিনারেলের অভাব দেখা দিতে পারে।
৩. অ্যালোভেরা
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করে। কারণ অ্যালোভেরার রস, পাচক রসের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার খুব সহজে হজম হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট বা মেদ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।

অ্যালোভেরা ব্যবহারের উপায়
১. দুটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা নিন। খোসা ছাড়িয়ে জেলটা বের করে নিন। ২. এবার একটি ব্লেন্ডারে এক কাপ আঙুর বা কমলালেবুর রস মেশান। ইচ্ছা হলে শুধু পানিও ব্যবহার করতে পারেন। এবার ২-৩ মিনিট ব্লেন্ডারে ভাল করে বেঁটে নিন উপকরণগুলি।
৩. প্রতিদিন সকালবেলা, টানা তিনমাস এটি পান করতে হবে।

 

৪. গ্রিন টি
চটজলদি রোগা হতে চান, তাহলে আজ থেকেই গ্রিন টি রান করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এর মধ্যে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-থ্রি-গ্যালেট, শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাটকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্রিন টিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ক্যারটেনয়েড, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং অন্যান্য মিনারেল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

৫. লাল মরিচের গুঁড়ো
লাল মরিচের গুঁড়ো শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয়। কারণ এতে রয়েছে ক্যাপসেসিন নামক একটি উপাদান, যা একদিকে যেমন এনার্জি বৃদ্ধি করে, তেমনি শরীরের ইতিউতি জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতেও সাহায্য করে। ফলে নতুন করে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।

মরিচ গুঁড়ো ব্যবহারের উপায়
এক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা লাল মরিচ গুঁড়ো মেশাতে হবে। সেই সঙ্গে অর্ধেক লেবু থেকে সংগ্রহ করা রসও মেশাতে হবে। এক মাস টানা এই মিশ্রনটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর পাঁচটি পানীয়

আপডেট টাইম : ০৪:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১. লেবুর রস
লেবুর রস ওজন কমানোর জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। লেবুর রস আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এর ফলে খাবার হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগ পায় না।

লেবুর রস ব্যবহারের উপায়
১. তিন চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু এবং দেড় চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান। যদি গোটা গোলমরিচ ব্যবহারের আগে গুঁড়ো করে নিতে চান, সেক্ষেত্রে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ মাপে গোলমরিচ গুঁড়ো নিন।
২. সকাল বেলা খালি পেটে এটি পান করুন।
৩. তিন মাস টানা এই মিশ্রণটি পান করতে হবে উপকার পেতে।

 

২. আপেল সিডার ভিনিগার
এই উপাদানটি দেহের ওজন কমাতে দারুণ কাজে লাগে। যদিও ঠিক কিভাবে এটি ওজন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে, তা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ।

আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহারের উপায়
১. এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মেশাতে হবে।

প্রতিদিন সকালে খাওয়ার আগে এটি পান করতে হবে।
২. এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়েও পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, দিনে দু চা চামচের বেশি আপেল সিডার ভিনিগার পান করা একদমই উচিত নয়। এতে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে এবং হাড়ে মিনারেলের অভাব দেখা দিতে পারে।
৩. অ্যালোভেরা
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করে। কারণ অ্যালোভেরার রস, পাচক রসের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার খুব সহজে হজম হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট বা মেদ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।

অ্যালোভেরা ব্যবহারের উপায়
১. দুটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা নিন। খোসা ছাড়িয়ে জেলটা বের করে নিন। ২. এবার একটি ব্লেন্ডারে এক কাপ আঙুর বা কমলালেবুর রস মেশান। ইচ্ছা হলে শুধু পানিও ব্যবহার করতে পারেন। এবার ২-৩ মিনিট ব্লেন্ডারে ভাল করে বেঁটে নিন উপকরণগুলি।
৩. প্রতিদিন সকালবেলা, টানা তিনমাস এটি পান করতে হবে।

 

৪. গ্রিন টি
চটজলদি রোগা হতে চান, তাহলে আজ থেকেই গ্রিন টি রান করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এর মধ্যে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-থ্রি-গ্যালেট, শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাটকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্রিন টিতে উপস্থিত ভিটামিন সি, ক্যারটেনয়েড, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং অন্যান্য মিনারেল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

৫. লাল মরিচের গুঁড়ো
লাল মরিচের গুঁড়ো শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয়। কারণ এতে রয়েছে ক্যাপসেসিন নামক একটি উপাদান, যা একদিকে যেমন এনার্জি বৃদ্ধি করে, তেমনি শরীরের ইতিউতি জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতেও সাহায্য করে। ফলে নতুন করে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।

মরিচ গুঁড়ো ব্যবহারের উপায়
এক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা লাল মরিচ গুঁড়ো মেশাতে হবে। সেই সঙ্গে অর্ধেক লেবু থেকে সংগ্রহ করা রসও মেশাতে হবে। এক মাস টানা এই মিশ্রনটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই