ইন্দুরকানী উপজেলা আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও বিএনপি-জামায়াতের সাথে আতাঁতের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ.লীগের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. এম মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে লুটপাট, ছাত্রদল, শিবির নেতাকে চাকরি দেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য, বিএনপি-জামায়াত প্রীতি, ২০১৩-১৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত অনুদান প্রাপ্তিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি ও বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের অর্থের বিনিময়ে অব্যাহতিসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়।

উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য না থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অধিকাংশ নেতাকর্মী তাকেও দায়ী করেন।

তারা বলেন, এ উপজেলায় রাজনৈতিক সহিংসতায় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্ত গত ২৩ আগস্ট এ উপজেলার ২৭ জন নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আর্থিক অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ভাই ফারুক হাওলাদার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মো. মনিরুজ্জামান ১ লাখ টাকা, মেয়ে সাথী আক্তার ৫০ হাজার টাকা, ভাগিনা আবুল কাশেম খান ঐ সময় বিদেশে অবস্থান করলেও তার নামে ১ লাখ,  বালিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শাহআলম ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পান। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাাঈদীর মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম ফকির, যুবলীগ নেতা বাপ্পি মোল্লা, বাদশা বেপারি, আলাউদ্দিন মোল্লা, মজনু, খায়রুলসহ অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন ক্ষতিপূরণ পাননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, সাইদুর রহমান সাইদ, মাহবুবুল আলম ফকির, সাবেক ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল শিকদার, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক লাভলু, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহীন হাওলাদার  প্রমুখ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যঅড. এম মতিউর রহমান জানান, বিএনপি জামায়াতের নাশকতায় ক্ষতিগস্ত দলীয় যে সব ব্যক্তি আবেদন করেছে তারা সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নেইনি। বরং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমিসহ আমার পরিবারে ক্ষতিগ্রস্থরাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। আমি কোনো দুর্নীতির আশ্রয় নেইনি। তবে ক্ষতিগ্রস্থ যারা অনুদান পায় নাই তারা আবেদন করলে জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর