ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ার এনজিও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৪৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে এক লাখ রিঙ্গিতের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মালয়েশিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাংকাতান বেলিয়া ইসলাম মালয়েশিয়া (এবিআইএম)। তাদের এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘ভয়েস অব রোহিঙ্গা’। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস। এতে বলা হয়, কক্সবাজারে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় খুঁজছেন তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে কমপক্ষে এক লাখ রিঙ্গিত প্রয়োজন। এ জন্য অর্থ দাতাদের সহায়তা নিয়ে তহবিল সমৃদ্ধ করতে অক্লান্তভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এবিআইএমের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহমি মোহাম্মদ শামসুদিন। তিনি বলেন, এ যাবত তারা কাঙ্খিত লক্ষ্য নিয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছেন ৩৬ হাজার রিঙ্গিত। টার্গেট পূরণের জন্য এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আবার সহায়তা নিয়ে আবার কক্সবাজারে যাবো ১৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার। এবার আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে ইন্দোনেশিয়াও। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের মাঝে পরিষ্কার পানি, পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, রাখাইনে সর্বশেষ সহিংসতা থেকে পালানো রোহিঙ্গা শরণার্থীতে উপচে পড়ছে কক্সবাজার উপকূল। শিবিরগুলোতে ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করছেন তারা। তাদের অনেকে অসুস্থ। বহু মানুষ মাটিতেই ঘুমান। এসব দৃশ্য হৃদয়ে তোলপাড় করে। যারা বাংলাদেশের পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অসম্ভব দুর্বল ও নিঃস্ব। তাদের জন্য যেসব আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে তার বেশির ভাগই গাঠের ডাল ও পাতা ব্যবহার করে করা হয়েছে। ওদিকে মন্ত্রী শাহিদান কাসিম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিষ্পেষণ চলছে সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন মালয়েশিয়া সরকার। রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। তাদের আগেভাগেই সুরক্ষা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে (এমএমইএ)। সমুদ্রপথে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য ও পানি পৌঁছে দেবে পারলিস, কেদাহ, পেনাং ও পেরাক এলাকার জলসীমায় প্রহরারত এমএমইএ’র নৌযান। তারা যতটা দ্রুত সম্ভব এসব শরণার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে নিকটবর্তী নৌসীমানায় কোনো ঘাঁটিতে। তারপর তাদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য হস্তান্তর করা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ার এনজিও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করছে

আপডেট টাইম : ০৭:১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে এক লাখ রিঙ্গিতের একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মালয়েশিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাংকাতান বেলিয়া ইসলাম মালয়েশিয়া (এবিআইএম)। তাদের এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘ভয়েস অব রোহিঙ্গা’। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস। এতে বলা হয়, কক্সবাজারে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় খুঁজছেন তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে কমপক্ষে এক লাখ রিঙ্গিত প্রয়োজন। এ জন্য অর্থ দাতাদের সহায়তা নিয়ে তহবিল সমৃদ্ধ করতে অক্লান্তভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এবিআইএমের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহমি মোহাম্মদ শামসুদিন। তিনি বলেন, এ যাবত তারা কাঙ্খিত লক্ষ্য নিয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছেন ৩৬ হাজার রিঙ্গিত। টার্গেট পূরণের জন্য এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আবার সহায়তা নিয়ে আবার কক্সবাজারে যাবো ১৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার। এবার আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে ইন্দোনেশিয়াও। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের মাঝে পরিষ্কার পানি, পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, রাখাইনে সর্বশেষ সহিংসতা থেকে পালানো রোহিঙ্গা শরণার্থীতে উপচে পড়ছে কক্সবাজার উপকূল। শিবিরগুলোতে ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করছেন তারা। তাদের অনেকে অসুস্থ। বহু মানুষ মাটিতেই ঘুমান। এসব দৃশ্য হৃদয়ে তোলপাড় করে। যারা বাংলাদেশের পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অসম্ভব দুর্বল ও নিঃস্ব। তাদের জন্য যেসব আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে তার বেশির ভাগই গাঠের ডাল ও পাতা ব্যবহার করে করা হয়েছে। ওদিকে মন্ত্রী শাহিদান কাসিম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিষ্পেষণ চলছে সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন মালয়েশিয়া সরকার। রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। তাদের আগেভাগেই সুরক্ষা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে (এমএমইএ)। সমুদ্রপথে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য ও পানি পৌঁছে দেবে পারলিস, কেদাহ, পেনাং ও পেরাক এলাকার জলসীমায় প্রহরারত এমএমইএ’র নৌযান। তারা যতটা দ্রুত সম্ভব এসব শরণার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে নিকটবর্তী নৌসীমানায় কোনো ঘাঁটিতে। তারপর তাদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য হস্তান্তর করা হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।