হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরেই ধর্ষিতা হয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন সোহাগী জাহান তনু। সর্বশেষ টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপা নামের তরুণীকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে বাসের হেলপার, ড্রাইভাররা। বগুড়াতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনাও খুব বেশি দিন আগের নয়। প্রতিনিয়তই পিতার কাছে মেয়ে, চাচার কাছে ভাতিজি, মাদ্রাসা শিক্ষক থেকে শুরু করে হুজুরদের ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে ধর্ষকরা বেরিয়ে যাচ্ছে বারবার। চলুন দেখে নেয়া যাক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের শাস্তির মাত্রা কেমন?
১। আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষনের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড।
২। রাশিয়া:২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড
৩। চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদন্ড।
৪। পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদন্ড।
৫। মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দুনিয়া: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু, ফাঁসি, হাত পা কাটা, যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া।
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ বছরের কারাদন্ড
৭। মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রতিশোধ পুরণ।
৮। নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা।
৯। আফগানিস্তান: ৪ দিনের ভিতর গুলি করে হত্যা।
১০। মালশিয়া: মৃত্যুদন্ড।
১১। বাংলাদেশ: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৮৬০ আইনের ৩৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ধর্ষণের অপরাধ করে তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং জরিমানা দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।’
দণ্ডবিধি অনুসারে ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ যা আমলযোগ্য কিন্তু জামিনযোগ্য নয়। এমনকি এটি মীমাংসারযোগ্যও নয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের গুটিয়ে না রেখে সবাইকে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের ঘটনায় আসামিরা জামিন লাভ করে আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠে অনেক ক্ষেত্রে।