ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন সেই তরুণী তাড়াশের রুপা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৭
  • ৫৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধারের পর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা ওই তরুণীর পরিচয় মিলেছে। চার দিন আগে ‘চলন্ত বাসে গণ নির্যাতনের পর খুন হওয়া’ মোছা. জাকিয়া সুলতানা রুপার (২৭) গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়।

রুপা উপজেলার আসানবাড়ী গ্রামের মৃত মো. জেলহক প্রামানিকের মেয়ে। এখন তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মেধাবী ওই তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

গণমাধ্যমে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই মো. হাফিজুর রহমান।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মধুপুরের পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার পাশে ওই তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশটি থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতন শেষে হত্যার পর ওই তরুণীর লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে—এমন ধারণা থেকে পরদিন (শনিবার) একটি মামলা করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে একই দিন বিকেলে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেয়েটির লাশ দাফন করা হয়।-সমকাল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন সেই তরুণী তাড়াশের রুপা

আপডেট টাইম : ১১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধারের পর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা ওই তরুণীর পরিচয় মিলেছে। চার দিন আগে ‘চলন্ত বাসে গণ নির্যাতনের পর খুন হওয়া’ মোছা. জাকিয়া সুলতানা রুপার (২৭) গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়।

রুপা উপজেলার আসানবাড়ী গ্রামের মৃত মো. জেলহক প্রামানিকের মেয়ে। এখন তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মেধাবী ওই তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

গণমাধ্যমে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন তার বড় ভাই মো. হাফিজুর রহমান।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মধুপুরের পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার পাশে ওই তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশটি থানায় নিয়ে আসে। নির্যাতন শেষে হত্যার পর ওই তরুণীর লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে—এমন ধারণা থেকে পরদিন (শনিবার) একটি মামলা করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে একই দিন বিকেলে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেয়েটির লাশ দাফন করা হয়।-সমকাল