হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেনশন আর কাজের চাপে রাতের ঘুম দফারফা। ফল, পরের দিন কাজের ব্যাঘাত, শারীরিক নানা সমস্যা। তাই ঘুমটা তো জরুরি। অনেক টোটকা, বাজর চলতি ঘুমের ওষুধে যদি বিরক্তি এসে গিয়ে থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি ট্রাই করতে পারেন। গাছ রাখুন বেডরুমে। অবাক হলেন তো? স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু গাছ আছে, যাদের বেডরুমে রাখলে, ভাল ঘুম হতে বাধ্য।
বিজ্ঞান বলছে, বাড়িতে গাছপালা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভাল। কারণ এরা ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখে। দেখা গেছে, বাড়ির ভিতরে রাখা গাছপালা দূষণ কমায়‚ জীবাণু ধ্বংস করে আর জলীয় বাষ্প ছাড়ে। এমনকি, কিছু গাছ আছে যা আপনার শোওয়ার ঘরে রাখলে ভাল ঘুম হয়।
* জেসমিন বা জুঁই: জেসমিন বা জুঁই ফুল ডিপ্রেশন কমায়‚ শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং উৎকন্ঠা কমায়। এছাড়াও দেখা গেছে জুঁই ফুলের গন্ধে গভীর ঘুম আসে। তবে জুঁই ফুলের গাছ খুব দ্রুত বাড়ে, তাই মাঝে মধ্যেই কিন্তু এই গাছ ছেঁটে ফেলতে হয়। একই সঙ্গে রোজ ২-৩ ঘন্টা রোদেও রাখতে হয়।
* স্পাইডার প্ল্যান্ট: স্নেক প্ল্যান্টের মতই স্পাইডার প্ল্যান্ট ঘরের মধ্যে থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও বাতাস পরিষ্কার রাখে এবং বাতাস ডিটক্স করে। এছাড়াও এই গাছ অপ্রীতিকর গন্ধ শুষে নিতে সক্ষম।
* রোজমেরি: বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই গাছের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না রোজমেরি আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তেও সাহায্য করে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, রোজমেরি স্নায়ুতন্ত্র, হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়‚ স্ট্রেস কমানোতেও জুড়ি নেই রোজমেরির।
* ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডার শরীর রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমায়, হার্ট রেট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে স্ট্রেস হরমোন তৈরি হয়, যার নাম করটিসোল, তা কমাতেও সাহায্য করে। রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়। এমনকি দেখা গিয়েছে, এই গাছ বাচ্চাদেরও দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।
* স্নেক প্ল্যান্ট: খুব সহজেই এই গাছ পাওয়া যায়। ঘরের মধ্যে ক্ষতিকারক টক্সিন তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই গাছ রাতের বেলা কার্বন ডাই অক্সাইড নেয় আর অক্সিজেন ছাড়ে। যাদের অ্যালার্জি হয়েছে বা যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই গাছ খুবই উপকারি।
কেউ কেউ মনে করেন শোওয়ার ঘরে গাছপালা রাখা বেশ ক্ষতিকর। কারণ রাতে গাছ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। শুষে নেয় অক্সিজেন। তবে আধুনিক বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলছে। দেখা গিয়েছে, যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গাছ ত্যাগ করে, ও অক্সিজেন শুষে নেয় তা এতটাই কম যে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না।