হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ বছর হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো টেস্টই খেলা হয়নি বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের! বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ১১ বছর পর আগামী ২৭ আগস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অজিদের মুখোমুখি হবে টিম টাইগার। এটি সাকিব আল হাসান এবং তার বন্ধু ওপেনার তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। কিন্তু সাকিবের জন্য এই টেস্ট আরেকটি কারণে স্পেশাল হয়ে যেতে পারে।
১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি দেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছেন বিশ্বের মাত্র ৩জন বোলার। ‘১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশ’ বলার কারণ হলো, টেস্ট ক্রিকেটর নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান এখনও টেস্ট খেলাই শুরু করেনি। তাই
তাদের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার তাই প্রশ্নই উঠে না। সবার আগে নয় দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের। এরপর যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন এবং শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ ৫ উইকেট নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর হাতছানি সাকিব আল হাসানের সামনে। সাকিব এখন পর্যন্ত ৮টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে খেলে প্রতিটি দলের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
অজিদের বিপক্ষে তিনি কোনোদিন খেলেননি, তাই এই সুযোগ সাকিবের ছিল না। এবার ঘরের মাটিতেই দারুণ এক রেকর্ড গড়ার সুযোগ বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের সামনে।
সাকিব ইদানিং ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে না ভাবলেও ৫ উইকেটের বিষয়টা মাথায় আছে তার। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার বললেন, ‘উইকেট পাওয়াটা নিজের হাতে নাই। দেখা যাবে অনেক একজন সময় দারুণ বোলিং করলেও উইকেট পায় অন্য কেউ। আবার অনেক সময় ভালো বোলিং না করেও উইকেট পাওয়া যায়। তবে এটা মনে আছে। চারটা ইনিংস আছে, দেখা যাক…। কতোটা বেশি অবদান রাখতে পারি, সেটাই বড়। দেখা গেল অন্য কেউ ভালো বোলিং করে পাঁচ উইকেট পেলো, দলের জন্য সেটা ভালো। ‘
উল্লেখ্য, এশিয়ার দুই ক্রিকেটশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১বার করে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ২বার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি ৩বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।