ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী শহরে এখন পুরুষ যৌনকর্মীদের রমরমা পসার। ইন্টারনেট তো রয়েছেই, পুরুষ যৌনকর্মী হাতের নাগালে পেতে পারেন এমন অনেক জায়গা রয়েছে নয়াদিল্লিতে। দেশটির জামিয়া নগর, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে গেলেই দেখা মিলবে তাদের। মানব সভ্যতার আদিমতম এই পেশার সঙ্গে যে সমস্ত পুরুষরা যুক্ত।
তারাই বলছেন, বয়ফ্রেন্ড সার্ভিস এখন সব থেকে বেশি লোভনীয় মহিলাদের কাছে। একাকীত্বে ভুগছেন এমন মহিলা এবং তরুণীরাই বয়ফ্রেন্ড সার্ভিস নিয়ে থাকেন। যার জন্য মোটা টাকা খরচ করতেও পিছপা হন না তারা।
শুধুমাত্র পারিশ্রমিক নয়, পুরুষ যৌনকর্মীদের নিয়ে দিল্লির বিলাসবহুল হোটেল, রিসর্টেও সময় কাটান মহিলারা।
দিল্লির এক পুরুষ যৌনকর্মী বলেন, ইঞ্জিনয়ারিংয়ের ছাত্র আমি, পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছিলাম না, এক বন্ধু মারফত প্রথম এক গ্রাহকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তার কাছ থেকেই পরে অন্যান্য মহিলাদের যোগাযোগ পাই, এখন প্রত্যেকদিনই কল পায়, বেশিরভাগটাই হোটেল সার্ভিস। শুরুর দিকে বিষয়টি মন থেকে মেনে নিতে না পারলেও, টাকাটা আমার প্রয়োজন।
টাকার জন্যই অনেক যুবক এই পেশায় আসছেন ঠিকই। কিন্তু অনেকেই আবার সখের যৌনকর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রি সার্ভিসও দিয়ে থাকেন। যে সমস্ত মহিলরা পুরুষ যৌনকর্মীর সার্ভিস নিয়ে থাকেন, তারা কারা? আপনি যদি মনে করে থাকেন, কর্পোরেট দুনিয়ার হাই স্ট্যাস্টাসের ছাপ রয়েছে এমন মহিলারা। তাহলে একেবারেই ভুল, দিল্লির বেশিরভাগ পুরুষ যৌনকর্মীরাই জানাচ্ছেন, কলেজ স্টুডেন্ট এবং মধ্যবিত্ত ঘরের মহিলারাই তাঁদের নিয়মিত কাস্টমার। কিন্তু কেন? পুরুষ যৌনকর্মীরা বলছেন, সেক্স অ্যাডভেঞ্চার যেমন এর একটি কারণ তেমনই একাকিত্ব দূর করতেই তাদের ডাক বেশি পড়ে। এমন বহু মহিলা আছেন যারা যৌনকর্মীদের বেড রুমে ডেকে সারা রাত শুধুই গল্প করে কাটিয়ে দেন।
এদিকে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের নজর এড়িয়ে খোদ দেশটির রাজধানীর বুকে এই সব চলছে কীভাবে? পুরুষ যৌনকর্মীরা জানাচ্ছেন, লাল রুমালের সিগন্যাল, কোড ওয়ার্ড এই সব জানা পুলিশেরর। কিন্তু পুরুষ যৌনকর্মী নিয়ে তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পুলিশ তেমন পায়নি। তা ছাড়াও পুরুষ যৌনকর্মী বিষয়টিও আজও ভারতের মতো দেশে অনেকটাই আরব্য রজনীর মতো। তাই বিষয়টি আটকাতে পুলিশের তেমন কোনও উৎসাহ নেই।