ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোলাও পাতার চাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ৬৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পোলাও পাতা গাছের আকৃতি ও পাতার চেহারা দেখতে অনেকটা কেয়াগাছের মতো। তবে কেয়াগাছের মতো অত বড় হয় না। এই গাছের পাতা থেকে পোলাওয়ের মতো ঘ্রাণ আছে বলে পোলাও পাতা গাছ বলা হয়।

বিশেষ করে সাধারণ চাল দিয়ে ভাত রান্নার সময় এই পাতা ব্যবহারে সেসব ভাতেও পোলাওয়ের ঘ্রাণ আসে। পোলাও পাতা টুকরো টুকরো করে গরম ভাতের স্তরে বিছিয়ে দেয়া হয়। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিলে ভাতে সুঘ্রাণ আসে। খাওয়ার সময় সেই ভাত থেকে পোলাওয়ের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।

চা বানাতেও পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়। চায়ের পানি ফুটে এলে তার ভেতর পোলাও পাতার কয়েকটা টুকরো ছেড়ে দেয়া হয়। তারপর সেই পানি ছেঁকে চায়ের মতো খেলে সেই চা থেকেও পোলাওয়ের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। একইভাবে বিভিন্ন রকম স্যুপ, জাউভাত, ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি করতে পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়। আসুন জেনে নিই পোলাও পাতা গাছ চাষ করার পদ্ধতি।

জমি চারা সরাসরি জমিতে লাগানো যেতে পারে অথবা বাড়ির আঙিনায় ঝোপ করার জন্য এক জায়গায় কয়েকটা গাছ লাগানো যেতে পারে।

রোপণ প্রথমে গাছ সংগ্রহ করতে হবে। কাণ্ডের গিঁট থেকে কুশির মতো চারা বের হয়। চারা লাগিয়ে নতুন গাছ জন্মানো যায়। গাছ একটু বড় হলে সেই গাছের গোড়া থেকে এবং তার চারপাশ থেকে কুশি বের হয়। ওই কুশি আবার পুনরায় জমিতে রোপণ করা যায়।

সার সার দেয়ার দরকার হয় না। লাগানোর সময় মাটির সাথে বেশি করে জৈব সার মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

সেচ চারা লাগানোর পর কয়েক দিন সেচ দিতে হয়। আর কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই। আধোছায়া ও রোদেলা জায়গায় ভালো জন্মে।

নিড়ানি যেকোনো সময় গাছ থেকে পাতা তোলা যায়। তোলার সময় গোড়ার দিকের বয়স্ক পাতা তুলতে, না হলে পাতা পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পোলাও পাতার চাষ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পোলাও পাতা গাছের আকৃতি ও পাতার চেহারা দেখতে অনেকটা কেয়াগাছের মতো। তবে কেয়াগাছের মতো অত বড় হয় না। এই গাছের পাতা থেকে পোলাওয়ের মতো ঘ্রাণ আছে বলে পোলাও পাতা গাছ বলা হয়।

বিশেষ করে সাধারণ চাল দিয়ে ভাত রান্নার সময় এই পাতা ব্যবহারে সেসব ভাতেও পোলাওয়ের ঘ্রাণ আসে। পোলাও পাতা টুকরো টুকরো করে গরম ভাতের স্তরে বিছিয়ে দেয়া হয়। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিলে ভাতে সুঘ্রাণ আসে। খাওয়ার সময় সেই ভাত থেকে পোলাওয়ের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।

চা বানাতেও পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়। চায়ের পানি ফুটে এলে তার ভেতর পোলাও পাতার কয়েকটা টুকরো ছেড়ে দেয়া হয়। তারপর সেই পানি ছেঁকে চায়ের মতো খেলে সেই চা থেকেও পোলাওয়ের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। একইভাবে বিভিন্ন রকম স্যুপ, জাউভাত, ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি করতে পোলাও পাতা ব্যবহার করা যায়। আসুন জেনে নিই পোলাও পাতা গাছ চাষ করার পদ্ধতি।

জমি চারা সরাসরি জমিতে লাগানো যেতে পারে অথবা বাড়ির আঙিনায় ঝোপ করার জন্য এক জায়গায় কয়েকটা গাছ লাগানো যেতে পারে।

রোপণ প্রথমে গাছ সংগ্রহ করতে হবে। কাণ্ডের গিঁট থেকে কুশির মতো চারা বের হয়। চারা লাগিয়ে নতুন গাছ জন্মানো যায়। গাছ একটু বড় হলে সেই গাছের গোড়া থেকে এবং তার চারপাশ থেকে কুশি বের হয়। ওই কুশি আবার পুনরায় জমিতে রোপণ করা যায়।

সার সার দেয়ার দরকার হয় না। লাগানোর সময় মাটির সাথে বেশি করে জৈব সার মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

সেচ চারা লাগানোর পর কয়েক দিন সেচ দিতে হয়। আর কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই। আধোছায়া ও রোদেলা জায়গায় ভালো জন্মে।

নিড়ানি যেকোনো সময় গাছ থেকে পাতা তোলা যায়। তোলার সময় গোড়ার দিকের বয়স্ক পাতা তুলতে, না হলে পাতা পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।