ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে হয়রানির শিকার মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৫ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার এক কিশোরী টুইটারে লিখেছিলেন, দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরা ছিলেন না বলে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা ও বিদ্রূপের মুখে পড়তে হয় ওই কিশোরীকে।
মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন, আর তা কতটা ব্যাপক তারই খোঁজ নিয়েছেন সুরেখা রাগাভান। বিশ্বের সবখানেই অনলাইনে যে মেয়েরা হয়রানির শিকার হয় তা গোপন কিছু নয়। মালয়েশিয়াতেও সব ধর্মের মেয়েরা হয়রানির শিকার হয়।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, দেশটিতে মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং সামাজিক প্রত্যাশা থেকে এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশিরভাগ নারী।
‘আমরা একটা ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি যে মুসলিম নারীদের (মালয়-মুসলিম) ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টার্গেট করা হচ্ছে। বিশেষ করে তারা কিভাবে নিজেদের প্রকাশ করছে, তাদের পোশাক-আশাক কী, সেই বিষয়টা লক্ষ্য করছে’- বলেন জুয়ানা জাফর, তিনি নারীদের অধিকার আদায়ে লড়াই করেন। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মামলাও তিনি লড়ছেন।
মিস জাফর বলছেন, ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে যেসব বক্তব্য এসেছে তা খুবই নির্মম। শেষ পর্যন্ত সে তার একাউন্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে এবং অফলাইনে থেকে সাহায্য চেয়েছে।
‘আপনার যদি মালয়দের মতো নাম হয় তাহলে আপনাকে দৃশ্যমান দেখাবে।’
অনেক রক্ষণশীল সমাজে কে কী করলো না করলো, প্রতিবেশীর কাজ বা ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করার সংস্কৃতি রয়েছে।
আর অনলাইনে এখন এটি ব্যাপকভাবে হচ্ছে। মালয় ভাষার যেসব ট্যাবলয়েড আছে সেখানে এসব ‘পরচর্চার’ বিষয়টি বেশ চলছে।
মিস জাফর বলছেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যখন দেখা হয় তখন এটি আরো বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যু হয়ে দাড়ায়।
‘ধর্ম কিন্তু এসব পরচর্চাকে উৎসাহ দেয় না। হাদিসেও আছে সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে কথা বলো, কারো গোপন বিষয়ের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখো’ বলছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইনে হয়রানির শিকার মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীরা

আপডেট টাইম : ০৩:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৫ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার এক কিশোরী টুইটারে লিখেছিলেন, দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরা ছিলেন না বলে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা ও বিদ্রূপের মুখে পড়তে হয় ওই কিশোরীকে।
মালয়েশিয়ার মুসলিম নারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন, আর তা কতটা ব্যাপক তারই খোঁজ নিয়েছেন সুরেখা রাগাভান। বিশ্বের সবখানেই অনলাইনে যে মেয়েরা হয়রানির শিকার হয় তা গোপন কিছু নয়। মালয়েশিয়াতেও সব ধর্মের মেয়েরা হয়রানির শিকার হয়।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, দেশটিতে মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং সামাজিক প্রত্যাশা থেকে এ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশিরভাগ নারী।
‘আমরা একটা ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি যে মুসলিম নারীদের (মালয়-মুসলিম) ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টার্গেট করা হচ্ছে। বিশেষ করে তারা কিভাবে নিজেদের প্রকাশ করছে, তাদের পোশাক-আশাক কী, সেই বিষয়টা লক্ষ্য করছে’- বলেন জুয়ানা জাফর, তিনি নারীদের অধিকার আদায়ে লড়াই করেন। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মামলাও তিনি লড়ছেন।
মিস জাফর বলছেন, ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে যেসব বক্তব্য এসেছে তা খুবই নির্মম। শেষ পর্যন্ত সে তার একাউন্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে এবং অফলাইনে থেকে সাহায্য চেয়েছে।
‘আপনার যদি মালয়দের মতো নাম হয় তাহলে আপনাকে দৃশ্যমান দেখাবে।’
অনেক রক্ষণশীল সমাজে কে কী করলো না করলো, প্রতিবেশীর কাজ বা ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করার সংস্কৃতি রয়েছে।
আর অনলাইনে এখন এটি ব্যাপকভাবে হচ্ছে। মালয় ভাষার যেসব ট্যাবলয়েড আছে সেখানে এসব ‘পরচর্চার’ বিষয়টি বেশ চলছে।
মিস জাফর বলছেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যখন দেখা হয় তখন এটি আরো বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যু হয়ে দাড়ায়।
‘ধর্ম কিন্তু এসব পরচর্চাকে উৎসাহ দেয় না। হাদিসেও আছে সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে কথা বলো, কারো গোপন বিষয়ের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখো’ বলছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি