ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন চারার তীব্র সংকট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোপা আমনের চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যাওয়া আমন ক্ষেতের জমিতে নতুন করে চারা লাগানো শুরু করেছে কৃষকরা। নতুন কোন চারা পাচ্ছেন না। অগত্যা চড়া দামে কিনে চারা কিনে জমিতে লাগাচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার অনেক কৃষকরা।

উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের কৃষক নুর জামাল জানান, বন্যার পানিতে তিন বিঘা আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই জমিতে নতুন করে চারা রোপনের জন্য শিমুলবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল কাদেরের বিশ শতক জমির আমন ক্ষেত চারা হিসাবে কিনেছেন তিনি পাঁচ হাজার টাকায়।

বুদারবান্নী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান,আড়াই বিঘা জমির আমন ক্ষেত বানের পানিতে পচে গেছে। ষোলশ টাকার চারা কিনে আধা বিঘা রোপন করেছি। চড়া দাম দিয়েও বাকি চারা পাচ্ছি না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় এগার হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মৌসুম শুরুর প্রথম দিকেই কৃষকরা চাহিদা মত জমিতে আমন ক্ষেত লাগিয়েছেন। তাই আগেই শেষ হয়েছে বীজতলার চারা। কিন্তু লাগানোর মাস খানেক পর ধান গাছ বড় হলে বন্যা এসে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চারার সংকট দেখা দিয়েছে নতুন করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রশিদ জানান, বন্যায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চারা সরবরাহের আবেদন জানিয়ে উপর মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমন চারার তীব্র সংকট

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রোপা আমনের চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যাওয়া আমন ক্ষেতের জমিতে নতুন করে চারা লাগানো শুরু করেছে কৃষকরা। নতুন কোন চারা পাচ্ছেন না। অগত্যা চড়া দামে কিনে চারা কিনে জমিতে লাগাচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার অনেক কৃষকরা।

উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের কৃষক নুর জামাল জানান, বন্যার পানিতে তিন বিঘা আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ওই জমিতে নতুন করে চারা রোপনের জন্য শিমুলবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল কাদেরের বিশ শতক জমির আমন ক্ষেত চারা হিসাবে কিনেছেন তিনি পাঁচ হাজার টাকায়।

বুদারবান্নী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান,আড়াই বিঘা জমির আমন ক্ষেত বানের পানিতে পচে গেছে। ষোলশ টাকার চারা কিনে আধা বিঘা রোপন করেছি। চড়া দাম দিয়েও বাকি চারা পাচ্ছি না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় এগার হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মৌসুম শুরুর প্রথম দিকেই কৃষকরা চাহিদা মত জমিতে আমন ক্ষেত লাগিয়েছেন। তাই আগেই শেষ হয়েছে বীজতলার চারা। কিন্তু লাগানোর মাস খানেক পর ধান গাছ বড় হলে বন্যা এসে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চারার সংকট দেখা দিয়েছে নতুন করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহাবুবুর রশিদ জানান, বন্যায় প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চারা সরবরাহের আবেদন জানিয়ে উপর মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে।