হাওর বার্তা ডেস্কঃ ম্যাচের তখন ২৭ মিনিট। গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের থেকে বল পেলেন কাসেমিরো। এরপর নাচো, সার্জি রামোস, টনি ক্রুস, লুকা মডরিচ ও মার্সেলো মিলে পাসের ফুল ফোটালেন নিজেদের অর্ধে। সেখান থেকে বল দেপোর্তিভোর সীমানায়; এবার ডিফেন্স চেরা সব পাসে আক্রমণ সাজাতে শুরু করলেন বেল, বেনজেমা, কাসেমিরো, কারভাহাল ও ইসকো। ডান প্রান্ত থেকে ইসকোর দূরপাল্লার ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে দেপোর্তিভোর গোলমুখে ক্রস বাড়ান মার্সেলো। পা ছুঁয়ে শুধু বল জালে পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন কাসেমিরো। হয়ে গেল ৪৪ পাসের গোল!
দেপোর্তিভোর মাঠে রিয়ালের ৩-০ ব্যবধানের জয়ে দ্বিতীয় গোলটি ৪৪ পাসের ফসল। ১০৭ সেকেন্ডের এ পাসিং ফুটবলে অন্তত একটি হলেও স্পর্শ ছিল রিয়ালের সব খেলোয়াড়ের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮ বার করে বল ছুঁয়েছেন লুকা মডরিচ ও ইসকো। লা লিগায় ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এটাই সর্বোচ্চসংখ্যক পাসের গোল।
গত মৌসুমে লা লিগায় ১০৫ সেকেন্ডে ৩৮ পাসের গোল করেছিল ভ্যালেন্সিয়া। সেই একই মৌসুমে লাস পালমাসের কাছ থেকে ৩৫ পাসের গোল হজম করতে হয়েছিল ভ্যালেন্সিয়াকেই। এ ছাড়া গত মৌসুমেই ৩৪ পাসের গোল করেছে বার্সেলোনা, যার শেষ ছোঁয়াটা ছিল নেইমারের।৪৪ পাসের গোল চমকপ্রদ হলেও ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে ব্যাপারটা নতুন নয়। ২০১৪ লিগ কাপে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৫১ পাসের গোল করেছিল লিভারপুল। গোলরক্ষক ছাড়া অলরেডদের বাকি ১০ খেলোয়াড়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থেকে এসেছিল এ গোল। একই বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কিউপিআরের বিপক্ষে ৪৮ পাসের গোল করেছিল টটেনহাম। এ ছাড়া ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে ৪০ পাসের গোল রয়েছে বার্সেলোনার।
জাতীয় দলের হয়েও কিন্তু পাসিং ফুটবলে গোল করার দারুণ কিছু কীর্তি রয়েছে। ভিসেন্তে দেল বস্ক স্পেনের কোচ থাকাকালীন ২০১১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ পাসের গোল করেছিল ‘লা রোজা’রা। ‘টিকিটাকা’র ধারকদের সেই গোলের মূল ‘অর্কেস্ট্রা’ ছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। ২০০৬ বিশ্বকাপে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ম্যাচে ২৬ পাসের অনিন্দ্যসুন্দর গোল করেছিল আর্জেন্টিনা, যার শেষ টেনেছিলেন এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসো। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এ ম্যাচে অভিষেক ঘটেছিল লিওনেল মেসির। ৭৪ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সূত্র: এএস, মিরর।