হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের আসাম রাজ্যে চলতি মৌসুমে দুই দফার বন্যায় তিনশোর বেশি পশুর মৃত্যু হয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ৮০ শতাংশই পানির নিচে।
কাজিরাঙা থেকে প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে জন্তু-জানোয়ারের মৃতদেহ। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের ডিভিশনাল বন কর্মকর্তা রোহিণী বল্লভ সাইকিয়া জানিয়েছেন, ১০ আগস্টের পর থেকে সাতটি গণ্ডার, ১২৭টি হরিণ, তিনটি বুনো শুয়োর, একটি মহিষ ও একটি সজারুর মৃত্যু হয়েছে। সাতটির মধ্যে ছয়টি গণ্ডারইৃ বন্যার পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১০ আগস্ট ডিফলু নদী দিয়ে ৪৮১ বর্গ কিমির কাজিরাঙায় ঢুকে পড়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি। এতেই প্লাবিত হয় উদ্যানের ৮০ শতাংশ এলাকা। কাজিরাঙার কর্মীরা ছাড়াও আটকে পড়া পশুদের বাঁচাতে ও মৃত পশুদের দেহ উদ্ধারে আপদকালীন তৎপরতায় কাজ করছে বিশেষ টাস্ক ফোর্স, বন দপ্তর, ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া ও বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
খাবারের খোঁজে জন্তু-জানোয়াররা এখন প্রায়ই ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের আশপাশে ও কার্বিয়াংলঙের পার্শ্ববর্তী চা-বাগানগুলোতে হানা দিচ্ছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কাজিরাঙার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির গতিবেশ যাতে ঘণ্টায় ২০-৪০ কিমির মধ্যে রাখা হয়, সেজন্য পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়েছে বনদপ্তর।