হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস দ্বৈত নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকরা জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না।
এর আগে জয়েস জানিয়েছিলেন, বংশানুক্রমে তার নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকতে পারে, তবে এটি নিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, আদালত জয়েসকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সরকার ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
নিউজিল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে করেছে যে, নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিকের সন্তান হলে সেই সন্তানও দেশটির নাগরিক হন।
তবে জয়েস অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন, তিনি আইন ভঙ্গ করেননি বলে আইনি পরামর্শ পেয়েছেন। আদালতের রায় ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার পার্লামেন্টে জয়েস বলেন, গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশন থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়, বংশানুক্রমে তিনি সম্ভবত নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।
তিনি বলেন,‘বলা নিষ্প্রয়োজন যে এতে আমি বিস্মিত হয়েছি। আমি অন্য কোনো দেশের নাগরিক হতে পারি তা আমি বা আমার বাবা-মার বিশ্বাস করার কোনো কারণ ছিল না।’
জয়েসের বাবার জন্ম নিউজিল্যান্ডে। তারপর ১৯৪৭ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়া চলে আসেন। ১৯৬৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে জয়েসের জন্ম হয়।
‘দ্বৈত নাগরিকত্ব কেলেঙ্কারিতে’ অবশ্য জয়েসেই প্রথম নন। গত মাসে স্কট লাডল্যাম ও ল্যারিসা ওয়াটারর্স নামে দুই সিনেটর পদত্যাগে বাধ্য হন। এছাড়া ম্যাট ক্যানভান ও ম্যালকম রবার্ট নামে আরো দুই সিনেটরের ভাগ্য ঝুলে আছে উচ্চ আদালতের রায়ের ওপর।