হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীদের সঙ্গে ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের দাঙ্গার পর রাজ্যে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপসহ অনেককে আটক করেছেন পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার (১২ আগস্ট) সকালের দিকে কনফেডারেম পতাকা, বর্ম আর হেলমেট পড়ে একটি মিছিল বের করে চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা।
বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনগুলোও এ সময় আলাদা মিছিল বের করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় বিরোধী কর্মীদের একটি সমাবেশের উপর চলন্ত গাড়ি তুলে দেয়া হলে একজন নারী (৩২) নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় হেলিকপ্টারে টহলরত দুইজন রাজ্য সেনা হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় মারা যান।
গৃহযুদ্ধের সময়কার জেনারেল রবার্ট ই লি-র একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই মিছিলের আয়োজন করে ডানপন্থীরা। ১৮৬১-৬৫ সালের গৃহযুদ্ধে দাসত্ব প্রথার পক্ষে লড়াইকারী কনফেডারেট বাহিনী পরিচালনা করেন জেনারেল লি।
পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সমাবেশের জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষই একে অপরের উপর বোতল, পাথর ছুড়ে মারে। এমনকি তারা পিপার স্প্রেও ব্যবহার করে। এর আগে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতেও মশাল মিছিল বের করেছিল শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী আর বর্ণবাদ বিরোধীদের মধ্যে একপর্যায়ে দাঙ্গা বেধে যায়।
এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে সব ধরণের বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত। আমেরিকায় এ রকম সহিংসতার কোন জায়গা নেই।’
শার্লোটসভিল একটি উদারপন্থী শহর হিসাবেই পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এই শহরের ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন।
তবে এখানকার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ জেনারেল লি-র ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর, শহরটি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিবিসি