যৌনপল্লীর বিভীষিকা নিয়ে মোদিকে তরুণীর চিঠি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারী পাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। দিনগুলোর কথা ভাবলেও আজও গা শিউরে ওঠে, ভয়ে-যন্ত্রণায় চোখ বন্ধ করে ফেলেন তিনি। সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো যেন তাড়া করে বেড়ায় তাকে।

অবশেষে বহু বছর পর বাতাসে যেন একটু অক্সিজেন। অন্ধকার দুনিয়ায় একচিলতে সোনা রোদ। ভারতের মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশন ও পুলিশের তৎপরতায় সম্প্রতি একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। ছয় বছরের অন্ধকারের পর একটি জামাকাপড়ের কারখানায় ‘জীবন’ খুঁজে পেয়েছেন সেই নির্যাতিতা। কিন্তু বাকিরা? এখনও যে এই অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে দেশের হাজার হাজার অসহায় মেয়ে! তাদের কী হবে? সেই ভাবনা থেকেই চিঠি লেখা। খামের ওপর ঠিকানা— সাউথ ব্লক, রাইসিনা হিলস।

যৌনপল্লীর পাশবিক নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন সেই নির্যাতিতা। রাখি বন্ধনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি, পাচার হওয়া মেয়েদের উদ্ধার করার আর্জিও জানান তিনি। জানান, কীভাবে ওই যৌনপল্লীতে পাচারকারীরা তাকে বিক্রি করে দিয়েছিল। সেখানে পশুর থেকেও নিকৃষ্টভাবে অত্যাচার করা হত তার ওপর। রোজই মারধর করা হত।

গতকালই তার সেই দু’পাতার চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে ওই নির্যাতিতা জানান, শেষ ছয় বছরে বাঁচার সমস্ত আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। মনে হত, এই পাশবিক যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে একদিন এই পতিতাপল্লিতেই মরে যেতে হবে তাকে।

সেই অন্ধকার জীবন থেকে বেরিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার একটাই আর্জি, নিজের বোন ভেবে পাচারকারীদের হাত থেকে অসহায় মেয়েগুলোকে উদ্ধার করুন।

ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজয়া জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠি গ্রহণ করেছেন। এবং শীঘ্রই তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর