হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেড়ে দেওয়া আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় শীর্ষে আছে তার স্ত্রী ও মেয়ের নাম।
দলীয়প্রধান নওয়াজ শরিফ অবশ্য এখনো চূড়ান্ত করেননি জাতীয় পরিষদের ১২০ নম্বর আসনে প্রার্থী কে হচ্ছেন। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নওয়াজের স্ত্রী প্রাক্তন ফার্স্টলেডি বেগম কুলসুম নওয়াজ বা তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ প্রার্থী হতে পারেন।
ডন অনলাইনের এক খবরে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন-এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় প্রথম গুরুত্ব পাচ্ছেন কুলসুম নওয়াজ। দ্বিতীয় পছন্দ মরিময় নওয়াজ। তবে অন্য প্রার্থীদের বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লাহোরে যাওয়ার পর নওয়াজ শরিফ তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন- ওই আসনের উপনির্বাচনে কে হচ্ছেন প্রার্থী। দল থেকে এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রার্থী নির্বাচন হবে তার পছন্দমতোই।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করলে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তার উত্তরসূরি হবে তারই ছোট ভাই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে এ পদে আসীন হতে তাকে উপনির্বাচনে লড়ে বিজয়ী হওয়া দরকার ছিল।
কিন্তু এরই মধ্যে শাহবাজ শরিফের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। নওয়াজের মুসলিম লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা শাহবাজকে পাঞ্জাবে রাখতেই বেশি আগ্রহী। অন্যদিকে, শাহবাজের ইচ্ছা ছিল, তার ছেলে হামজা শাহবাজ তার উত্তরসূরি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হোক। আপাতত না শাহবাজ, না তার ছেলে হামজা কারোর-ই পদের পরিবর্তন হচ্ছে না। হামজা শাহবাজ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য।
১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে বন্দি করলে স্বামীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কুলসুম নওয়াজ। কিন্তু তিনি বা তার মেয়ে মরিয়ম কখনো কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হননি এবং কোনো সরকারি পদেও বসেননি।