হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো ফর্মূল দিয়ে লাভ কিছুই হবে না। গতকাল রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণতন্ত্রী পার্টির প্রায়ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আমিনুল ইসলাম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক ফর্মূলা দিচ্ছেন। অনেক তত্ত্ব দিচ্ছেন। কোনো লাভ হবে না। সংবিধান থেকে আমরা এক বিন্দুও সরবো না।’ বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিরোধের অনেক চেষ্টা হয়েছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। ১৪ সালের নির্বাচন আটকাতে পারেননি এবারও পারবেন না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা সঠিক ভাবেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও ১৪ দল এক সাথে থাকবে। জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এক সাথে সরকারও গঠন করবো।
গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত্ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে আরশ আলী বলেন, অনেক সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে বিশেষ করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন ও বাংলাদেশ সামরিক জান্তা বিরোধীসহ সকল গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে সকল প্রকার জেল-জুলুম, হুলিয়া ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে নেতৃত্বদ্বয় আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০২০ সালের মধ্যে সার্বিক প্রজনন হার দুই-এ নামানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে আরো গতিশীলতা আনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি থেকে সকলকে মুক্ত থাকতে হবে।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের দূরদর্শী ও কার্যকর পরিকল্পনার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রমে সফলতা এলেও কিছু অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি। সরকার সেই সব দুর্বল অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ নজর দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শিগগিরই মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে জোরদার করতে পরিবার পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়াসহ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জটিলতা দ্রুত নিরসনের জন্যেও এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে চিকিত্সা, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।