মোটরসাইকেল কিনতে স্ত্রীর কাছে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে স্ত্রী মামলা করেছে স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মে. মশিউর রহমান খান মঙ্গলবার মামলাটি গ্রহণ করে মহিলা উন্নয়ন সংস্থাকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- খুলনার তেরখাদা উপজেলার চরকুশালা গ্রামের শরীফ মো. নজরুল ইসলামের ছেলে শরীফ আল আমীন, শরীফ আলমগীর হোসেন, রেশমা আক্তার ও ফিরোজা বেগম। শরীফ আল আমীন ঢাকা মেট্রো রেলে পুলিশে কর্মরত।
জানা যায়, বাদী বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামে বসবাস করেন। এ বছর ১৩ মার্চ পুলিশ সদস্যর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদীকে তুলে দেয় বাদীর পরিবার। কয়েকদিন পর পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ২১ এপ্রিল তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাদীর মা দেড় লাখ টাকা সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যকে আসতে বলেন। পুলিশ সদস্য ওই আসামিদের নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল বিকালে আমতলী শ্বশুর বাড়িতে আসেন। পরেরদিন দুপুরে খাবার পর বাদীর মা তার জামাতার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বলেন, বাবা আমার তো স্বামী নেই। আপাতত দেড় লাখ টাকা দিলাম। বাকি টাকা পরে দেব। এ সময় অন্য আসামিরা বলেন, যৌতুক দিতে না পারলে আমরা চলে যাচ্ছি। এমন সময় বাদী তার স্বামীর হাত ধরলে শরীফ আল আমীন তার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে দরজার ওপর ফেলে দেয়। এতে বাদী মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হন। বাদীকে তার মা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে আসামিরা চলে যান।