ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
  • ৪০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধি-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে নিতে চান বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (সুপ্রিম কোর্ট) সংশোধন করে যেটা দিয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছে, আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে, ১১৬ অনুচ্ছেদে মহামান্য রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা সেটা তারা নিয়ে নিতে চায়। আমি কি করে সেটা দেই? আপনারা আমাকে রায় দিয়ে দেন, বলেন? আমি তো দিতে পারি না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা (সুপ্রিম কোর্ট)মাসদার হোসেন কেসে ডিসিপ্লিনারি রুলসের কথা বলেছেন। কেউ কিন্তু ডিসিপ্লিনারি রুলস করে নাই। আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এ রুলসটা করেছি।

তিনি বলেন, আমি বললাম, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসেন শেষ করে দেই। আমি একটা ড্রাফট পাঠিয়েছি। আপনারা কারেকশন করে দিয়েছেন। আমরা সেটার ওপরে সেইটুকু হাত লাগিয়েছি। যেইখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ১১৬ অনুচ্ছেদ মতে, সেইটা আমি শুধু বলছি না, এটা দেওয়া যাবে না।

আমরা সেটার ওপরে সেইটুকু হাত লাগিয়েছি। যেইখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ১১৬ অনুচ্ছেদ মতে, সেইটা আমি শুধু বলছি না, এটা দেওয়া যাবে না। ওটা ফেরত পাঠিয়েছে। আমি নিজে এসে ওনাকে দিয়েছি। বলেছি, আপনি পড়েন, আপনি দেখেন। তার পরে যদি কোনো বক্তব্য থাকে আমাকে জানান। তারপরও আলোচনা করব।

আনিসুল হক বলেন, তিনি প্রধান বিচারপতি। আমার তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমি সেই সম্মান ও অধিকার রেখে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে বলতে চাই, আমিতো হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট উঠানোর কথা বলি নাই। ডিসিপ্লিনারি রুলস দিয়ে হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট ওঠে না। আপনার এজলাসে বসে এগুলি বলারতো দরকার হয় না। আলাপ আলোচনাতো আমি করবই।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট টাইম : ১১:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধি-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে নিতে চান বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (সুপ্রিম কোর্ট) সংশোধন করে যেটা দিয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছে, আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে, ১১৬ অনুচ্ছেদে মহামান্য রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা সেটা তারা নিয়ে নিতে চায়। আমি কি করে সেটা দেই? আপনারা আমাকে রায় দিয়ে দেন, বলেন? আমি তো দিতে পারি না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা (সুপ্রিম কোর্ট)মাসদার হোসেন কেসে ডিসিপ্লিনারি রুলসের কথা বলেছেন। কেউ কিন্তু ডিসিপ্লিনারি রুলস করে নাই। আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে এ রুলসটা করেছি।

তিনি বলেন, আমি বললাম, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আসেন শেষ করে দেই। আমি একটা ড্রাফট পাঠিয়েছি। আপনারা কারেকশন করে দিয়েছেন। আমরা সেটার ওপরে সেইটুকু হাত লাগিয়েছি। যেইখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ১১৬ অনুচ্ছেদ মতে, সেইটা আমি শুধু বলছি না, এটা দেওয়া যাবে না।

আমরা সেটার ওপরে সেইটুকু হাত লাগিয়েছি। যেইখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ১১৬ অনুচ্ছেদ মতে, সেইটা আমি শুধু বলছি না, এটা দেওয়া যাবে না। ওটা ফেরত পাঠিয়েছে। আমি নিজে এসে ওনাকে দিয়েছি। বলেছি, আপনি পড়েন, আপনি দেখেন। তার পরে যদি কোনো বক্তব্য থাকে আমাকে জানান। তারপরও আলোচনা করব।

আনিসুল হক বলেন, তিনি প্রধান বিচারপতি। আমার তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমি সেই সম্মান ও অধিকার রেখে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে বলতে চাই, আমিতো হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট উঠানোর কথা বলি নাই। ডিসিপ্লিনারি রুলস দিয়ে হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট ওঠে না। আপনার এজলাসে বসে এগুলি বলারতো দরকার হয় না। আলাপ আলোচনাতো আমি করবই।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।