বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার প্রতীক উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সব জাতির ভাগ্যে এমন নেতার আবির্ভাব হয় না।’
রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সুপ্রিম কোর্ট শাখা এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার আদর্শে অবিচল ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। আপোষ করেননি। তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। তার আদর্শ চিরকাল বেঁচে থাকবে।’
স্পিকার বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, দারিদ্র্য বিমোচন, শিশুমৃত্যু রোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বদলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ৭১-এর ঘাতকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। প্র্রথম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ১৫ আগস্ট। পরে আমরা ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডও দেখেছি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীরা একই। তারা আলাদা কেউ নয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘১৫ আগস্ট যে কত শোকাবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা উল্লাস করেছিল তারা এখনো এই দেশেই আছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহম্মদ মেহেদী, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা বারের প্রাক্তন সভাপতি নজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।