হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপনার নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের করে দেবে এই ক্রিসপি পটেটো। মানে ভুটানের আলুভাজা। ঢাকায় আমরা যাকে বলি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। ভুটানের এই খাবার খেয়ে আমার কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
আপনারা যারা ভ্রমণকাহিনি পড়েন তানা জানেন ত্রিরত্নের নৌবিহার একটা বিখ্যাত ভ্রমণ উপন্যাস। আমরা তিনজন বলে আমি আমাদের এই ট্যুরের নাম দিয়েছি ত্রিরত্নের ভুটান সফর।
তো আমরা তিনজন আজ রাতের খাবার খেতে বসেছি। হঠাৎ করে রাকিবের মনে হলো ভুটানি কোন খাবার মানে ঝাল কিছু অর্ডার দেবে। এরপরই ক্রিসপি পটেটোর অর্ডার। কিন্তু এই আলুভাজা এতো বেশি ঝাল যে মুখে দিয়েই মাথা খারাপের দশা। বারবার চিনি খেয়েও আমি মাথা ঠান্ডা করতে পারছি না। আর যে অর্ডার দিয়েছিল সেই রাকিব এক পিস আলু মুখে দিয়ে চুপ। আর সে হাত বাড়ায় না প্লেটে।
ভুটানের বেশিরভাগ রেস্তোরাঁয় ভারতীয় খাবার দাবার মানে বাঙালিদের পছন্দের ভাত মাছ মাংস পাওয়া যায়। তাও যদি কারো শখ জাগে এখানে এসে ভুটানি খাবার খাবেন তিনি চিকেন মাররু, ইমা দাতসা, কেওয়া দাতসি, শামু দাতসি, রেড ড্রাই চিলি দাতসি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। ইমা মানে চিলি, কেওয়া মানে আলু আর শামু মানে মাশরুম। দাতসি মানে চিজ।
ভুটানিরা তাদের সব খাবারে ঝাল আর চিজ খায়। এতোই ঝাল খায় এরা যে আপনার পা থেকে মাথা পর্যন্ত জ্বলে যাবে। মুখ দিয়ে ধোয়া বের হবে। আমাদের সাথে থাকা গাড়িচালক কর্মা দর্জির ভাষায় নতুন কেউ ভুটানি ট্রাডিশনাল খাবার খাওয়ার পরদিন বাথরুমে তাকে সংগ্রাম করতে হবে। জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কীভাবে খাও। বললে সহ্য হয়ে গেছে।
এবার আপনিই ঠিক করেন কী খাবেন এখানে বেড়াতে এসে। ও হ্যাঁ এখানকার ট্রাউট ফিশ বিখ্যাত। থিম্পুতে পাইনি। পারোতে গিয়ে চেষ্টা করবো। তবে খাবার যেমনই হোক ভুটানের প্রকৃতি আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। অন্য দেশে বেড়াতে গিয়ে পর্যটন স্থানে গিয়ে ছবি তুলতে হয়। কিন্তু ভুটানে আপনি যেখানে ইচ্ছে থামবেন। চোখ তুলে তাকাবেন। মনে হবে ছবির দেশে এসেছেন। একটা দেশ এত সুন্দর হয় কেন?