ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুরু দেখে সন্তুষ্ট ট্রেনার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ২৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ   ফিটনেস ক্যাম্প শুনলেই আগে নাটকীয় জ্বরে পড়তেন অনেকে। যাঁরা হাজিরা দিতেন, তাঁরা ফাঁকিজুঁকি মারতেন। কিন্তু দিন বদলেছে। এ ধরনের ক্যাম্পের ডিফিডেন্ট যে সামনের সময় মিলবে, এ বিশ্বাসটা স্থায়ী হয়েছে ক্রিকেটারদের মনে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সবশেষ ফিটনেস ক্যাম্পে ট্রেনারের অনুপস্থিতিতে পরিশ্রমের প্র্যাকটিসটা চালু করেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। গতকাল শুরু হওয়া ক্যাম্পে মীর ফরিদের ফ্রেমে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান তাঁদেরই দুজন।

 গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ধরলে টানা ৯ মাস খেলার মধ্যেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। আবার যদি ১৫ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেই সর্বশেষ ম্যাচটি ধরেন, তাহলে তো ২৪ দিন ছুটিতে। ওই স্কোয়াডে না থাকাদের জন্য যে সময়টা মাস পেরোনো। সেই ছুটি শেষ হয়ে গেল কাল। ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে আবার ক্রিকেটের খোলসে ঢুকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়ারা।

মাশরাফি বিন মর্তুজার বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৩। ক্রিকেট-বিরতিতে ফিটনেসের ঘাটতিটা একটু যেন বোঝা যায় কাল আদুল গায়ের ওয়ানডে অধিনায়ককে দেখে। কিন্তু এ নিয়ে কৌতুকের প্রশ্নে তাঁর সিরিয়াস উত্তর, ‘এসব বিপ টেস্ট কোনো ব্যাপার না। গত ১৫ বছর ধরেই তো পাস করে যাচ্ছি।  পাস যে এ দফাতেও ভালোভাবে করেছেন, তা বিপ টেস্ট শেষে মুখে গর্বের হাসি মিশিয়ে বলে যান মাশরাফি, ‘স্কোর করেছি ১১-র বেশি। পেসারদের মধ্যে আমার ফিটনেসই সবচেয়ে ভালো। ’ অবশ্য শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের এ আয়োজনে সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাঁর নয়। সেটি সাব্বির রহমানের। এই ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হয়েছে জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়েনের অধীনে। প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে এখনো ছুটিতে। ২৮ জুলাই তাঁর দেশে ফেরার কথা। অন্য বিদেশি কোচিং স্টাফরাও নেই। সে কারণেই ভিল্লাভারায়েনের অধীনে এই ক্যাম্প। অবশ্য ফিটনেস ফেরানোর এই অভিযানে তাঁর উপস্থিতিটাই সবচেয়ে জরুরি। কাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২৯ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন ২২ জন। তামিম ইকবাল ইংল্যান্ডে গেছেন এসেক্সের হয়ে খেলার জন্য। রুবেল হোসেন ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত। এ ছাড়া এনামুল হক, লিটন দাশ, আবুল হাসান, তানভীর হায়দার ও সাইফ উদ্দিন বিসিবি হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডের হয়ে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। বাকিদের নিয়েই শুরু হয়ে গেছে ভিল্লাভারায়েনের দৌড়ঝাঁপ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ছয় মাসের বিরতি ছিল জাতীয় দলের। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে সর্বশেষ এমন ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার আবার। এর গুরুত্বটা কাল ফুটে ওঠে ভিল্লাভারায়েনের কণ্ঠে, ‘অনেক দিন পর ফিটনেস ক্যাম্প হচ্ছে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে টানা আট মাস আমরা খেলার মধ্যে আছি। এখন কার ফিটনেস কোন অবস্থায় আছে, আমার জন্য তা আলাদা করে বোঝার ভালো সুযোগ এই ক্যাম্প। এরপর যার যেখানে ঘাটতি আছে, তা নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় সপ্তাহ কাজ করতে চাই। ’ কাজ তো করবেন, কিন্তু তাতে কি আগ্রহ আছে ক্রিকেটারদের? অতীতে তো অনেক সময়ই খেলোয়াড়দের এতে অনীহা দেখা যেত। যেনতেনভাবে ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার উদাহরণও ভূরি ভূরি। কিন্তু বছর তিনেক জাতীয় দলের সঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া ভিল্লাভারায়েন এ জায়গায় দেখছেন বড় পরিবর্তন, ‘ছেলেদের মনোভাব অনেক বদলে গেছে। মানসিকতার এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ওরা এখন ফিটনেস নিয়ে আরো কিছু করতে চায়। আরো বেশি পরিশ্রমেও আপত্তি নেই।  ক্রিকেটারদের ফিটনেসে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে এর কৃতিত্বটা শিষ্যদেরই দেন এই শ্রীলঙ্কান, ‘ছেলেরা এখন নিজেরা ট্রেনিং করে, আগে যা কখনোই হতো না। দেখুন না, টানা ৮-১০ মাস খেলার মধ্যে আছে, তবু ফিটনেসটা মোটামুটি ঠিকই আছে। তা সম্ভব হয়েছে এই ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারটা ক্রিকেটাররা এখন উপভোগ করে বলেই। ’

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুই টেস্ট সিরিজ শুরুর সূচি আগামী মাসের ২৭ তারিখ। সেপ্টেম্বরে টেস্ট-ওয়ানডে-টি টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ব্যস্ত সূচির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার আবশ্যিক পূর্বশর্ত ফিটনেস। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের বিবর্ণ ফিল্ডিংয়ের ছবিটা মনে রাখলে এর গুরুত্ব আরো বেশি। ভিল্লাভারায়েন অবশ্য ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য কেবল ফিটনেসের কথাই বললেন না, ‘এটি ঠিক যে ফিটনেস ভালো থাকলে ফিল্ডিংয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়। তবে ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য এটিই একমাত্র শর্ত না। ওই উন্নতির জন্য আমাদের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। ’ কাল ক্যাম্পে যোগ না দেওয়াদেরও পরে এসে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের বিশ্বাস, ‘গত তিন বছরে তামিমের ফিটনেসের অনেক উন্নতি হয়েছে। সে জানে তাকে কী করতে হবে। আর এইচপি দলের ক্রিকেটাররা তো একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার সময় ওদের ফিটনেস ভালো থাকবে বলেই আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শুরু দেখে সন্তুষ্ট ট্রেনার

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ   ফিটনেস ক্যাম্প শুনলেই আগে নাটকীয় জ্বরে পড়তেন অনেকে। যাঁরা হাজিরা দিতেন, তাঁরা ফাঁকিজুঁকি মারতেন। কিন্তু দিন বদলেছে। এ ধরনের ক্যাম্পের ডিফিডেন্ট যে সামনের সময় মিলবে, এ বিশ্বাসটা স্থায়ী হয়েছে ক্রিকেটারদের মনে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সবশেষ ফিটনেস ক্যাম্পে ট্রেনারের অনুপস্থিতিতে পরিশ্রমের প্র্যাকটিসটা চালু করেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। গতকাল শুরু হওয়া ক্যাম্পে মীর ফরিদের ফ্রেমে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান তাঁদেরই দুজন।

 গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ধরলে টানা ৯ মাস খেলার মধ্যেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। আবার যদি ১৫ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেই সর্বশেষ ম্যাচটি ধরেন, তাহলে তো ২৪ দিন ছুটিতে। ওই স্কোয়াডে না থাকাদের জন্য যে সময়টা মাস পেরোনো। সেই ছুটি শেষ হয়ে গেল কাল। ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে আবার ক্রিকেটের খোলসে ঢুকে গেলেন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়ারা।

মাশরাফি বিন মর্তুজার বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৩। ক্রিকেট-বিরতিতে ফিটনেসের ঘাটতিটা একটু যেন বোঝা যায় কাল আদুল গায়ের ওয়ানডে অধিনায়ককে দেখে। কিন্তু এ নিয়ে কৌতুকের প্রশ্নে তাঁর সিরিয়াস উত্তর, ‘এসব বিপ টেস্ট কোনো ব্যাপার না। গত ১৫ বছর ধরেই তো পাস করে যাচ্ছি।  পাস যে এ দফাতেও ভালোভাবে করেছেন, তা বিপ টেস্ট শেষে মুখে গর্বের হাসি মিশিয়ে বলে যান মাশরাফি, ‘স্কোর করেছি ১১-র বেশি। পেসারদের মধ্যে আমার ফিটনেসই সবচেয়ে ভালো। ’ অবশ্য শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের এ আয়োজনে সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাঁর নয়। সেটি সাব্বির রহমানের। এই ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হয়েছে জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়েনের অধীনে। প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে এখনো ছুটিতে। ২৮ জুলাই তাঁর দেশে ফেরার কথা। অন্য বিদেশি কোচিং স্টাফরাও নেই। সে কারণেই ভিল্লাভারায়েনের অধীনে এই ক্যাম্প। অবশ্য ফিটনেস ফেরানোর এই অভিযানে তাঁর উপস্থিতিটাই সবচেয়ে জরুরি। কাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২৯ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন ২২ জন। তামিম ইকবাল ইংল্যান্ডে গেছেন এসেক্সের হয়ে খেলার জন্য। রুবেল হোসেন ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত। এ ছাড়া এনামুল হক, লিটন দাশ, আবুল হাসান, তানভীর হায়দার ও সাইফ উদ্দিন বিসিবি হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডের হয়ে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। বাকিদের নিয়েই শুরু হয়ে গেছে ভিল্লাভারায়েনের দৌড়ঝাঁপ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ছয় মাসের বিরতি ছিল জাতীয় দলের। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে সর্বশেষ এমন ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। এবার আবার। এর গুরুত্বটা কাল ফুটে ওঠে ভিল্লাভারায়েনের কণ্ঠে, ‘অনেক দিন পর ফিটনেস ক্যাম্প হচ্ছে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে টানা আট মাস আমরা খেলার মধ্যে আছি। এখন কার ফিটনেস কোন অবস্থায় আছে, আমার জন্য তা আলাদা করে বোঝার ভালো সুযোগ এই ক্যাম্প। এরপর যার যেখানে ঘাটতি আছে, তা নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় সপ্তাহ কাজ করতে চাই। ’ কাজ তো করবেন, কিন্তু তাতে কি আগ্রহ আছে ক্রিকেটারদের? অতীতে তো অনেক সময়ই খেলোয়াড়দের এতে অনীহা দেখা যেত। যেনতেনভাবে ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার উদাহরণও ভূরি ভূরি। কিন্তু বছর তিনেক জাতীয় দলের সঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া ভিল্লাভারায়েন এ জায়গায় দেখছেন বড় পরিবর্তন, ‘ছেলেদের মনোভাব অনেক বদলে গেছে। মানসিকতার এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ওরা এখন ফিটনেস নিয়ে আরো কিছু করতে চায়। আরো বেশি পরিশ্রমেও আপত্তি নেই।  ক্রিকেটারদের ফিটনেসে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে এর কৃতিত্বটা শিষ্যদেরই দেন এই শ্রীলঙ্কান, ‘ছেলেরা এখন নিজেরা ট্রেনিং করে, আগে যা কখনোই হতো না। দেখুন না, টানা ৮-১০ মাস খেলার মধ্যে আছে, তবু ফিটনেসটা মোটামুটি ঠিকই আছে। তা সম্ভব হয়েছে এই ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারটা ক্রিকেটাররা এখন উপভোগ করে বলেই। ’

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুই টেস্ট সিরিজ শুরুর সূচি আগামী মাসের ২৭ তারিখ। সেপ্টেম্বরে টেস্ট-ওয়ানডে-টি টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ব্যস্ত সূচির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার আবশ্যিক পূর্বশর্ত ফিটনেস। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের বিবর্ণ ফিল্ডিংয়ের ছবিটা মনে রাখলে এর গুরুত্ব আরো বেশি। ভিল্লাভারায়েন অবশ্য ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য কেবল ফিটনেসের কথাই বললেন না, ‘এটি ঠিক যে ফিটনেস ভালো থাকলে ফিল্ডিংয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়। তবে ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য এটিই একমাত্র শর্ত না। ওই উন্নতির জন্য আমাদের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। ’ কাল ক্যাম্পে যোগ না দেওয়াদেরও পরে এসে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের বিশ্বাস, ‘গত তিন বছরে তামিমের ফিটনেসের অনেক উন্নতি হয়েছে। সে জানে তাকে কী করতে হবে। আর এইচপি দলের ক্রিকেটাররা তো একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার সময় ওদের ফিটনেস ভালো থাকবে বলেই আশা করছি।