সে স্বর্গের পরী নয়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন প্রচন্ড শক্তিশালী যে কোন তথ্য এখন ছাচে ফেলে যাচাই-বাছাইয়ের আগেই তার পাঠক বেড়ে যায় বহুগুনে। আর তিন গোয়েন্দার ভূত থেকে ভূতে পদ্ধতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে অনেকটা মহামারী আকারেই। তেমনি এক বিষয় হল স্বর্গের পরী ধরার খবর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো হয়, হঠাৎ আকাশ থেকে পড়েছে পরীটি। সেটাকে জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই পরীটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এমনকি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীটি তার তরুণীর রূপ হারিয়ে বৃদ্ধ হয়ে গেছে।
আর এই সংবাদের নিচে চাপা পড়ে যায় আসল খবরটি। সেটাও প্রকাশ হয়েছিল এই সংবাদ ছড়ানোর পরপর। কিন্তু তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে লেগে গেছে ৩ দিন!
সে স্বর্গের পরী নয়!এই পরীটি আসলে বেইজিংয়ের দুই আর্টিস্টের চিত্রকর্ম। আর সেটাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে উন্মাদোনা শুরু হবার বেশ আগের। ২০০৮ সালে তারা এটি তৈরি করে। তবে এই শিল্প কর্মে মানুষের টিস্যু ও আরো কিছু উপাদানের অনুরূপ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে তা দেখতে অবিকল মানুষের মত মনে হয়। এই উদ্ভট শিল্প কর্মটি এসেছে বেইজিং-এর আর্টিস্ট সান ইয়ুয়ান(San Yuan) ও পেঙ্গু ইয়ু (Pengu Yu) এর মাধ্যমে। এই শিল্পকর্মটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘অ্যাঞ্জেল’ (Angel)’ নামে। যা তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে দাবি করছেন তারা। এই দুই শিল্পী অত্যন্ত বাস্তব অতিপ্রাকৃত একটি মূর্তি বা স্কাল্পচার তৈরি করেছেন, যা সাধারন মানুষকে ভড়কে দিতে পারে সহজেই।
এই মূর্তিটি সিলিকা জেল, ফাইবার গ্লাস ও স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। এই মূর্তি তৈরিতে কোন করাল বা মৃতদেহের অংশ (Macabre parts) ব্যবহার করা হয়নি।
এই মূর্তিটি তৈরির আসল উদ্দেশ্য ছিলো অতিপ্রাকৃতিক বিষয়গুলোকে জাগতিক বিষয়ে রুপান্তর করা সর্ম্পকে সবার দৃষ্টিগোচর করা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর