বঙ্গবন্ধু সেতুতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে গাড়ির টোল আদায় নিয়ে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টোল সুপারভাইজার আতিকুল ইসলামকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
কাদের সিদ্দিকী রোববার তিনটি গাড়ি নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে গাড়ির টোল চাওয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টোল প্রদান করা হবে না মর্মে জানানো হয়।
এ সময় টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস একটি গাড়ির টোল আদায় করে বাকি দুটি গাড়ি ছেড়ে দেয়। পরে গাড়ি দুটির টোল না দেয়ার
বিষয়টি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে (বিবিএ) অবহিত করা হলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো গাড়ির টোল ফ্রি হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে টোল সুপারভাইজার গাড়ি দুটির টোল নিজের টাকা দিয়ে পরিশোধ করে দেন।
ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবীর টাঙ্গাইলে ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম টোলপ্লাজায় পুনরায় গাড়ি দুটির টোল দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে টোল কালেক্টর ও টোল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার সফরসঙ্গীদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এ সময় টোল সুপারভাইজার আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয় বলে জানান আতিক। পরে গাড়ি দুটির টোল না দিয়েই সেতু পার হয়ে যান কাদের সিদ্দিকী।
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ে নিয়োজিত কোম্পানি কমিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব.) মো. জিয়াউর জানান, রোববার রাতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর গাড়ির টোল আদায় নিয়ে টোল কালেক্টরদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাধে। এ সময় তার সফরসঙ্গীরা চড়াও হয়ে টোল সুপারভাইজারকে মারধর করেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি বিবিএকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।