হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে পাকিস্তান। কেনিংটন ওভালের ফাইনালে ভারত পাত্তায় পায়নি পাকিস্তানের কাছে। কোহিলিদের ১৫৮ রানে অলআউট করে দেয় সরফরাজ বাহিনী। ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বক্রিকেটে ফের আলোচনায় ওঠে এসেছে পাকিস্তান।
মোহাম্মাদ আমিরের বোলিং তোপে রীতিমতো নাকাল হয়েছে ভারতের টপ অর্ডার। পাকিস্তানের কাছে কোনও পাত্তাই পায়নি ভারত। একে একে তিন জাদরেল ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন এ বোলার। রোহিত শর্মা (০), বিরাট কোহলি (৫) ও শিখর ধাওয়ান (২১)। ১/১, ৬/২ ও ৩৩/৩ এই হচ্ছে ভারতের উইকেট পতনের ধারাবাহিকতা আমিরের বলে।
৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বলে প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। লেগ বিফোরের শিকার হন তিনি। এরপর আমিরের ব্যাক্তিগত ২য় ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সবশেষে আমিরের ব্যক্তিগত ৫ম ওভারে শরফরাজ আহমেদের হাতে ধরা পড়েন শেখর ধাওয়ান। ফেরার আগে ২২ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
দলীয় ৫৪ রানে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরেছে ভারত। এ সময় হাসান আলীর বলে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তার আগে একই রানে শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান যুবরাজ সিং। এরপর আবারও ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন শাদাব খান। এবার তার বলে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন কেদার জাদব।
এর আগে রোববার ওভালে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আলোচিত দ্বৈরথে টসে জয়লাভ করেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।
ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আজহার আলী ও ফকর জামান। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৮ রান। এরপর ব্যক্তিগত ৫৯ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার আলী। তবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফকর জামান।
সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি। তিনি ১১৪ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন। ৩টি ছয় ও ১২টি চারের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপর দ্রুতই ফিরে যান শোয়েব মালিক। তিনি ১২ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বেল সাজঘরে ফেরেন।
বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন দেখালেও ৪৬ রান করে কেদার যাদবের বলে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম। শেষদিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি ৩৭ বলে ৩ ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম খেলেন হার না মানা ২৫ রানের ইনিংস।