হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঠের কোহলি হয়তো একটু বেশিই আবেগ প্রবণ, সিরিয়াস, আক্রমণাত্মক। তবে মাঠের কোহলির সঙ্গে মাঠের বাইরের কোহলিকে মেলানো কঠিনই। মাঠের বাইরে কোহলি বিনয়ী এবং বুদ্ধিমান তো বটেই। কথা বলেন মেপে মেপে। মাঠের বাইরে কোহলিকে মোটেও আক্রমণাত্মক মনে হবার নয়। শনিবার লন্ডন সময় দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে মেপে মেপে কথা বললেন ভারত অধিনায়ক।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে এসে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। রবিবার জিতলেই শিরোপা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। অনেকেই বলছেন ম্যাচটা একপেশে হবে। ভারতের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারবে না পাকিস্তান। ক্রিকেট পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সবাই বলছেন এ কথা।
ভারত অধিনায়কও নিশ্চয়ই জানেন, রবিবারের ফাইনালে তার দল ঢের এগিয়ে। এজবাস্টনে গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তানকে ১২৪ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেটাই তো দেখিয়ে দিযেছে ভারত। কিন্তু না, অতীত তো অতীত। ওই ম্যাচের সঙ্গে ফাইনালকে মেলাতে চাইলেন না বিরাট।
বললেন, ‘না, ওই ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচটা এক করে দেখার সুযোগ নেই। আপনি জানেন না কীভাবে একটা দল টুর্নামেন্ট শুরু করবে। কোনও দল ভালো শুরু করেও পরে গিয়ে ধাক্কা খায়। কোনও দল আবার খারাপ শুরু করেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। পাকিস্তান সেটাই করেছে। তাদের শুরু ভালো না হলেও বিস্ময়করভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
পাকিস্তান দলকে প্রসংশায়ও ভাসালেন। মনে করেন, দলটির যেকোনও কিছু করার ক্ষমতা আছে। দলে ট্যালেন্টের অভাব নেই। তাই নিজেদের সতর্ক রাখছেন কোহলি। বললেন, ‘আমরা খুবই সতর্ক। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ওই দলে অনেক ট্যালেন্ট রয়েছে। তাদের দিনে তারা বিশ্বের যেকোনও দলকে হারিয়ে দিতে পারে। পাকিস্তান দলের এই সামর্থ্য আছে, এটা আমরা সবাই জানি। তাই আমরা পুরোপুরি সতর্ক। আমরা ম্যাচটা নিয়ে উত্তেজনায় ভুগতে চাই না। আবার চাপেও থাকতে চাই না। আমরা স্বাভাবিক থাকতে চাই। স্কিল, আত্মবিশ্বাসে আমরা ব্যালান্স পর্যায়ে থাকতে চাই। আমরা কী করতে পারি, সেটা আমরা জানি। এ নিয়ে আমরা আত্মবিশাসী। আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
রবিবার জমজমাট লড়াই দেখতে পাচ্ছেন বিরাট কোহলি। বলছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত যে, ভালো একটা লড়াই, ভালো একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। কারণ, দুই দলই জিততে চায়। তারা আসলেই খুব পরিশ্রম করছে। দারুণভাবে ফাইনালে উঠেছে। তারা শতভাগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। দুই দলের ১১ জন করে সেরাটা যদি দেয় তাহলে ভালো একটা লড়াই হবে। প্রথম ম্যাচের প্রসঙ্গ এখানে আসতেই পারে না।’