ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেমিফাইনালেই থেমে গেল স্বপ্নযাত্রা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০১৭
  • ৩৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বপ্ন যাত্রাই বলতে হবে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলের গ্রুপে, তখন কজনই বা ভেবেছিলেন সেমিফাইনাল কথা। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজার দল সেই অভাবনীয় কাজটাই করে দেখিয়েছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ছিটকে ফেলে সেমিফাইনাল উঠেছে বাংলাদেশ। তবে স্বপ্নযাত্রাটা বেশি লম্বা হলো না। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ২৬৪ রানে গিয়ে ঠেকল, তখনই মনে হচ্ছিল ফাইনাল খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ধারণাটা সত্যে পরিণত হয়েছে বড্ড নির্মমভাবে। রোহিম শর্মা ১২৩, বিরাট কোহলি ৯৬ ও ধাওয়ান ৪৬ রান করেছেন। যাতে ৪০ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬৫ রান তুলে ফেলে ভারত।

স্বল্প সংগ্রহটাকে জয়ের উপযুক্ত বানাতে হলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্তই কিছু করে দেখাতে হতো। কিন্তু কেউই তেমনটা করে দেখাতে পারেননি। যে মোস্তাফিজুর রহমানের উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল তিনিই বোলিং করলেন সবচেয়ে বাজে। ছয় ওভার বোলিং করে ৫৩ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.৮৩!

একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজাই যা একটু লড়াই করার মতো বোলিং করতে পারলেন। আট ওভার বোলিং করে ২৯ রানে একমাত্র উইকেটটি তুলে নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের অফ কাটারে পয়েন্টে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়েন শিখর ধাওয়ান।

এর আগে বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। ভুবনেশ্বর কুমারের বাইরের বল স্ট্যাম্পে টেনে ঠিকঠাক ড্রাইভ করতে না পারার শূন্য রানে বোল্ড হন সৌম্য। এরপর চার হাঁকিয়ে শুরু করা সাব্বির রহমান সহজতা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললেও ১৯ রানে ফিরে যান।

এ সময় তামিম ইকবালের সঙ্গে উইকেটে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। ২ উইকেট হারানোর পর তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৬২ বলে অর্ধশতক করেন। এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। ৮২ বলে খেলে ৭০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। যাতে তার ৭টি চার ও একটি ছক্কা ছিল। ভিত গড়ে দেয়া এ রান করার পর কেদার যাদবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম।

তার বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি জমে উঠার আগেই ফিরে যান সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে দারুণ এক শতক পাওয়া এই অলরাউন্ডার বেশিক্ষণ টিকেননি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ধোনির কাছে ক্যাচ দেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন ২৩ বলে ১৫ রান করে।

এরপর আউট হওয়ার আগে তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে শতরানের জুটি গড়া মুশফিকুর রহিমও সাজঘরের পথ ধরেন। তবে তার আগে মূল্যবান অর্ধশতক করেন তিনি। ৮৫ বলে ৬১ রান করেন।

এরপর উইকেটে এসে মোসাদ্দেক হোসেন জাসপ্রিত বুমরাহকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তিনি ১৫ রান করেন। মোসাদ্দেকের পর বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। ২১ রান করে তিনি ফিরে যান। মাহমুদউল্লাহ যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/৭।

পরের কাজ করেন মাশরাফি। তিনি ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাসকিনও অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেমিফাইনালেই থেমে গেল স্বপ্নযাত্রা

আপডেট টাইম : ১১:২৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বপ্ন যাত্রাই বলতে হবে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলের গ্রুপে, তখন কজনই বা ভেবেছিলেন সেমিফাইনাল কথা। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজার দল সেই অভাবনীয় কাজটাই করে দেখিয়েছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ছিটকে ফেলে সেমিফাইনাল উঠেছে বাংলাদেশ। তবে স্বপ্নযাত্রাটা বেশি লম্বা হলো না। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ২৬৪ রানে গিয়ে ঠেকল, তখনই মনে হচ্ছিল ফাইনাল খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ধারণাটা সত্যে পরিণত হয়েছে বড্ড নির্মমভাবে। রোহিম শর্মা ১২৩, বিরাট কোহলি ৯৬ ও ধাওয়ান ৪৬ রান করেছেন। যাতে ৪০ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬৫ রান তুলে ফেলে ভারত।

স্বল্প সংগ্রহটাকে জয়ের উপযুক্ত বানাতে হলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্তই কিছু করে দেখাতে হতো। কিন্তু কেউই তেমনটা করে দেখাতে পারেননি। যে মোস্তাফিজুর রহমানের উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল তিনিই বোলিং করলেন সবচেয়ে বাজে। ছয় ওভার বোলিং করে ৫৩ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.৮৩!

একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজাই যা একটু লড়াই করার মতো বোলিং করতে পারলেন। আট ওভার বোলিং করে ২৯ রানে একমাত্র উইকেটটি তুলে নিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের অফ কাটারে পয়েন্টে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়েন শিখর ধাওয়ান।

এর আগে বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ।

এরপর শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। ভুবনেশ্বর কুমারের বাইরের বল স্ট্যাম্পে টেনে ঠিকঠাক ড্রাইভ করতে না পারার শূন্য রানে বোল্ড হন সৌম্য। এরপর চার হাঁকিয়ে শুরু করা সাব্বির রহমান সহজতা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেললেও ১৯ রানে ফিরে যান।

এ সময় তামিম ইকবালের সঙ্গে উইকেটে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। ২ উইকেট হারানোর পর তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৬২ বলে অর্ধশতক করেন। এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। ৮২ বলে খেলে ৭০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। যাতে তার ৭টি চার ও একটি ছক্কা ছিল। ভিত গড়ে দেয়া এ রান করার পর কেদার যাদবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম।

তার বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি জমে উঠার আগেই ফিরে যান সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে দারুণ এক শতক পাওয়া এই অলরাউন্ডার বেশিক্ষণ টিকেননি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ধোনির কাছে ক্যাচ দেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন ২৩ বলে ১৫ রান করে।

এরপর আউট হওয়ার আগে তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে শতরানের জুটি গড়া মুশফিকুর রহিমও সাজঘরের পথ ধরেন। তবে তার আগে মূল্যবান অর্ধশতক করেন তিনি। ৮৫ বলে ৬১ রান করেন।

এরপর উইকেটে এসে মোসাদ্দেক হোসেন জাসপ্রিত বুমরাহকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তিনি ১৫ রান করেন। মোসাদ্দেকের পর বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। ২১ রান করে তিনি ফিরে যান। মাহমুদউল্লাহ যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/৭।

পরের কাজ করেন মাশরাফি। তিনি ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাসকিনও অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে।