আপন জুয়েলার্সের মালিক ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ বলেছেন, আমার সন্তান যদি অপরাধ করে, তাহলে অবশ্যই আমি তার শাস্তি চাই। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মাথা পেতে নেব। কিন্তু দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছি। আমার স্বর্ণ অবৈধ হলে দেশে কারো স্বর্ণই বৈধ নয়। তবে তিনি প্রতি সপ্তাহে খরচের জন্য কারাগারে ৩০ হাজার করে টাকা পাঠাচ্ছেন সাফাতকে। সেই টাকা দিয়ে সাফাত কারাগারের ক্যান্টিন থেকে ভালো মানের খাবার কিনে খাচ্ছেন বলেও জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগে তিনি গণমাধ্যমে দিলদার আহমেদ এসব কথা বলেন।
কাগজপত্র কেন দেখাতে পারছেন না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের ব্যবসা। সব কাগজপত্র তো সংগ্রহ করে রাখতে পারিনি। তাছাড়া পুরনো কিছু কারিগর ছিল, যারা চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে তো সব কাগজপত্র দেখানো সম্ভব না, একটু সময় লাগবে। এ জন্য সরকারের ও শুল্ক গোয়েন্দাদের সহযোগিতা দরকার।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, অবৈধভাবে স্বর্ণ ও হীরা মজুদ রাখার ব্যাখ্যা দিতেই তাদের শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ, আজাদ আহমেদ ও তাদের আইনজীবী আক্তার ফরজাদ জামান।