ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি ‍মুখ খুললে দিলদারকে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে: পিয়াসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭
  • ৬৭২ বার

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ। কিন্তু এ ধর্ষণ মামলায় সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে শুরু থেকেই। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজে পিয়াসা ও সাফাতের সম্পর্ক নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিজেই যোগাযোগ করেন পিয়াসা।

টেলিফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতকারে অনেক কথাই খোলামেলাভাবে বলেছেন ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে দিলদার আহমেদের পরিবারের লোকজন খুব নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, কোনো ধরণের অনৈতিক সুবিধা আমি সাফাতের সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে নেইনি। এমনকি সাফাতের দুঃসময়ে আমি টাকা দিয়ে তাকে চালিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, দিলদার আহমেদ গত বছর আমাকে হত্যা করার জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়ে গুন্ডা বাহিনী ভাড়া করেছিল। এ বিষয়ে আমার সাবেক স্বামী গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছিল। সেখানে সাফাত উল্লেখ করেছিল যে, ‘আমার জীবন সংকটে রয়েছে।’

আপন জুয়েলার্সের পরিচালক হওয়ার ইচ্ছার বিষয়টিও পরিষ্কার করেন ফারিয়া। তিনি বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ নিজের স্ত্রীকেই জীবনে কিছু দেয়নি। আমাকে কিভাবে সে পরিচালক করবে। এগুলো দিলদার আহমেদের নোংরা প্রচারণা ছাড়া কিছুই না।

এক প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া মাহবুর পিয়াসা বলেন, সাফাত আমাকে বিয়ের পর থেকেই দিলদার আহমেদ নানাভাবে বিরক্ত করতে শুরু করেন। আমাকে হত্যার পরিকল্পনা ছাড়াও সাফাতকে কোনো ধরণের টাকা পয়সাও দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় আমি সাফাতকে টাকা দিয়ে চালিয়েছি। আমার এবং সাফাতের মদ্য পানের কিছু খবর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সাফাত ইয়াবা আসক্ত ছিল, কিন্তু আমি এসবের মধ্যে ছিলাম না।

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ প্রসঙ্গে পিয়াসা বলেন, উনি মানুষ হিসাবে কখনোই ভালো ছিল না। নিজের ছেলের সঙ্গে তার ব্যাপক ঝামেলা ছিল। এমনকি ছেলেকে দেয়া গাড়িটা পর্যন্ত তিনি ফেরত নিয়েছিলেন। এ নিয়ে থানায় জিডিও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি যদি মুখ খুলি, তাহলে দিলদার আহমেদকে এই সমাজে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি ‍মুখ খুললে দিলদারকে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে: পিয়াসা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ। কিন্তু এ ধর্ষণ মামলায় সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে শুরু থেকেই। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজে পিয়াসা ও সাফাতের সম্পর্ক নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিজেই যোগাযোগ করেন পিয়াসা।

টেলিফোনে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাতকারে অনেক কথাই খোলামেলাভাবে বলেছেন ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে দিলদার আহমেদের পরিবারের লোকজন খুব নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, কোনো ধরণের অনৈতিক সুবিধা আমি সাফাতের সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে নেইনি। এমনকি সাফাতের দুঃসময়ে আমি টাকা দিয়ে তাকে চালিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, দিলদার আহমেদ গত বছর আমাকে হত্যা করার জন্য ২০ লাখ টাকা দিয়ে গুন্ডা বাহিনী ভাড়া করেছিল। এ বিষয়ে আমার সাবেক স্বামী গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছিল। সেখানে সাফাত উল্লেখ করেছিল যে, ‘আমার জীবন সংকটে রয়েছে।’

আপন জুয়েলার্সের পরিচালক হওয়ার ইচ্ছার বিষয়টিও পরিষ্কার করেন ফারিয়া। তিনি বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ নিজের স্ত্রীকেই জীবনে কিছু দেয়নি। আমাকে কিভাবে সে পরিচালক করবে। এগুলো দিলদার আহমেদের নোংরা প্রচারণা ছাড়া কিছুই না।

এক প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া মাহবুর পিয়াসা বলেন, সাফাত আমাকে বিয়ের পর থেকেই দিলদার আহমেদ নানাভাবে বিরক্ত করতে শুরু করেন। আমাকে হত্যার পরিকল্পনা ছাড়াও সাফাতকে কোনো ধরণের টাকা পয়সাও দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময় আমি সাফাতকে টাকা দিয়ে চালিয়েছি। আমার এবং সাফাতের মদ্য পানের কিছু খবর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সাফাত ইয়াবা আসক্ত ছিল, কিন্তু আমি এসবের মধ্যে ছিলাম না।

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ প্রসঙ্গে পিয়াসা বলেন, উনি মানুষ হিসাবে কখনোই ভালো ছিল না। নিজের ছেলের সঙ্গে তার ব্যাপক ঝামেলা ছিল। এমনকি ছেলেকে দেয়া গাড়িটা পর্যন্ত তিনি ফেরত নিয়েছিলেন। এ নিয়ে থানায় জিডিও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি যদি মুখ খুলি, তাহলে দিলদার আহমেদকে এই সমাজে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরতে হবে।’