আলোচিত শাফাতের সাবেক স্ত্রী পিয়াসা। পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও মডেল। গ্রাম থেকে ঢাকা একা এসে থাকতেন। ঐ সময় মিডিয়া পাড়ায় যোগাযোগ করতে করতে সুন্দরী হওয়ায় পেয়ে যান টিভি চ্যানেলের উপস্থাপিকার চাকুরি। তার পর যাতায়াত শুরু করেন অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সাথে।
এক সময় বয়সে তিনির চেয়ে দশ বছরের ছোট শাফাতের সাথে বিয়ে করেন এক টাকা কাবিনে।
পিয়াসা সম্পর্কে সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ সেলিম ‘আমার সম্পদের দিকে পিয়াসার নজর ছিল। তাই তো পিয়াসা এক টাকা দেন মোহর করে ভালোবাসার সম্পর্কের নামে অভিনয় করেছে। পিয়াসা আমার ছেলেকে বলেছিল, ‘তোমার টাকা চাই না, ভালোবাসা চাই।’ অথচ বিয়ের পর একে একে মুখোশ উন্মোচন হতে থাকে। এক টাকার কাবিননামার নামে যে কৌশল করা হয়েছিল তার নেপথ্যের ঘটনা বের হতে থাকে। দিলদার আহমেদ সেলিমের দাবি,
পিয়াসা তার ছেলেকে দিয়ে আপন জুয়েলার্সের সম্পদ লুটের চেষ্টা করেছিল। সেই চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় সাফাতকে ব্লাকমেইলিং করা হয় বলে দাবি তার।
এদিকে সাফাত আহমেদ ও ফারিহা মাহাবুব পিয়াসার নিকাহনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পহেলা জানুযারি মহাখালীর আমতলি এলাকার একটি কাজী অফিসে প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
নিকাহনামায় লেখা আছে, সাফাতের জম্ম তারিখ ২৮-৩-১৯৯২। ঠিকানা গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়ি। বাবার নাম দিলদার আহমেদ সেলিম, মাতার নাম নিলুফা বেগম জেসমিন। অপরদিকে কনের নাম ফারিহা মাহাবুব পিয়াসার বাবার নাম মাহাবুব আলম, মাতার নাম রকি মাহাবুব। ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ৩ আর কে মিশন লেন, আসকর দিঘী, পশ্চিমপাশে চট্টগ্রাম। পিয়াসার জম্ম তারিখ ১০-১১-১৯৮৯। পিয়াসা বয়সেও সাফাতের চেয়ে একটু সিনিয়র ছিলেন।
কন্যাপক্ষে উকিল ছিলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কাজির হাট এলাকার মরহুম আব্দুল জলিলের পুত্র আব্দুল মোতালেব। বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে ছিলেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকার কুড়াতলির সিরাজ উদ্দিনের পুত্র ইমরান হাসান ও দক্ষিণ বাড্ডার ব-৩৭ এর মরহুম সুলতান উদ্দিনের পুত্র একলাছ উদ্দিন। নিকাহনামায় ১৩ নম্বর পয়েন্টে দেনমোহরের পরিমাণের স্থানে লেখা আছে, ‘এক টাকা’ এবং ১৫ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ আছে যে, ‘বিবাহের সময় দেন মোহরের কোনো অংশ পরিশোধ করা হয়েছে কী না? যদি হইয়া থাকে তবে উহার পরিমাণ কত? সেখানে উত্তর হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, ‘নগদ পরিশোধ করা হইল’।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিয়ের পর সাফাত ও পিয়াসার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে উভয় মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। গুলশানের একটি কাজী অফিস থেকে চলতি বছরের সালের ৮ মার্চ সাফাতের পক্ষে তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়।