ইসলামী সলিডারিটি গেমস নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে তেমন আগ্রহ ছিল না। কখন গেমস শুরু হলো, কে বা কারা যাচ্ছে সেটাও অনেকের জানা ছিল না। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও (বিওএ) ক্রীড়াবিদদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে যায়নি। হয়ত সোনার পদক জয়ের কোনো আশা ছিল না বলেই। আশা যেখানে ছিল না সেখানেই জয় হয়েছে। গেমসের উদ্বোধনী দিনে শ্যুটিংয়ে বাংলাদেশের রাব্বি হোসেন মুন্না রুপার পদক জয় করে প্রথম খবরটি দিয়েছিলেন। তার চব্বিশ ঘণ্টা না যেতে সোনার পদক জয়ের খবর দিয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি এবং সৈয়দা আতকিয়া হাসা দিশা। এই দুই শ্যুটার মিশ্র দলগত ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সোনার পদক জয় করেছেন।
ইসলামী সলিডারিটি গেমসের এবার চতুর্থ আসর বসেছে আজারবাইজানের বাকু শহরে। এবারই প্রথম এই গেমস থেকে সোনার পদক পেল বাংলাদেশ। বাকু গেমসে বাংলাদেশ এখন আরো পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছে। রয়ে গেছে ভারোত্তোলন, অ্যাথলেটিকসে পদক জয়ের সম্ভাবনা। বিশেষ করে অ্যাথলেটিকসে লড়াই করবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ক্রীড়াবিদ আলীদা সিকদার।
২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামী সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ ১টি ব্রোঞ্জ এবং ১টি রুপার পদক জয় করেছিল। এমন আনন্দের দিনেও বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সংবাদ মাধ্যমের ফোন ধরেননি। তবে ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, সোনার পদক জয়ীদের ৬ লাখ, রুপার পদক জয়ীদের ৩ লাখ এবং ব্রোঞ্জ জয়ীদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে।