মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অভাবটা ছিল সারাবছর। ফলে সংসার চালাতে দারুণ কষ্ট হতো দীলিপ রায়ের। শুভাকাক্ষীদের পরামর্শে শুরু করেন হাঁস পালন। যেহেতু বাড়ির পাশে নদী-নালা আর আর পুকুর আছে। এ কারণে হাঁস পালনে তার খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আর এই হাঁস পালন করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন, সংসারের অভাব ঘুচিয়েছেন দিলীপ রায়।
নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সন্নিকটে বাঙ্গালিপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার মাষ্টারপাড়া। এখানেই বাড়ি দিলীপ রায়ের। গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশে পুকুরে প্রায় সাড়ে ৩০০ হাঁস সাঁতরে বেড়াচ্ছে। আর পুকুর পাড়ে দিলীপ রায় ও তার পরিবার খাবার দিচ্ছেন। মুগ্ধ হওয়ার মতোই দৃশ্য। হাঁসের এই জলকেলির দৃশ্যে যে কেউ-ই মুগ্ধ হবে।
এই হাঁসগুলো গড়ে প্রতিদিন ২০০ এ বেশি ডিম দেয়। দিলীপ রায়ের বাড়ি থেকে পাইকার ও ডিম ব্যবসায়ীরা এসে বাজারদরে ডিম নিয়ে যায় প্রতিদিন।
দিলীপ রায় জানান, এসব হাঁস অগ্রহায়ণ মাস থেকে টানা ১১ মাস ডিম দেয়। তিনি হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করেছেন সান্তাহার ফার্ম থেকে। প্রায় ৯ বছর ধরে হাঁস পালন করে ফিরিয়ে এনেছেন সংসারের স্বচ্ছলতা। প্রতিদিন ডিম বেচে হাঁসের খাদ্য সংগ্রহ ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় করেন। আর বাকি টাকা সংসারে লাগান ।
সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের পাশে কদমতলীতে এই হাঁসের খামার পথচারীদের মুগ্ধ করে। দেখতে আসেন পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও। তার হাঁস চাষে অনুপ্রাণীত হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন হাঁস পালন করছেন।