জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নজির গড়ল কিউবা। এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের দেহ থেকে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে সংক্রমণ আটকাতে অনেকাংশে সক্ষম হল কিউবা। জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এটি অন্যমত বড় কৃতিত্ব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
২০১০ থেকে জনস্বাস্থ্যের এই ক্ষেত্রটি নিয়ে কিউবায় কাজ শুরু হয়। গর্ভবতী মায়ের ঠিক সময়ে যত্ন শুরু হলে এইচআইভি ছাড়াও বেশ কিছু যৌনব্যাধি গর্ভস্থ সন্তানের দেহে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব।
‘হু’-র হিসেব জানাচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় বিশ্ব জুড়ে ১৪ লাখ এইচআইভি আক্রান্ত নারী গর্ভবতী হন। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ১৫ থেকে ৪৫ শতাংশ জায়গায় গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্মানোর সময়ে বা মাতৃদুগ্ধ পানের সময়ে সন্তানের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
২০০৯-এর মধ্যে চার লাখ শিশু এইচআইভি আক্রান্ত হত। ২০১৩ সালে সংখ্যাটি কমে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪০ হাজারে। কিউবার মতো জনস্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবস্থা নিলে সংখ্যাটি আরও কমবে বলে ‘হু’-র আশা।
কিউবায় তাই সন্তানধারণের পরপরই মায়ের, সন্তানের পিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। মায়ের এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টি রেট্রোভিয়াল ওষুধ প্রয়োগের পাশাপাশি সিজারিয়ান ডেলিভারি এবং নবজাতকে মাতৃদুগ্ধ পান করতে না দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়।
এর ফলে পাঁচ বছরের মধ্যেই এক লাখ শিশুর মধ্যে ৫০ জনেরও কমের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের হদিশ মেলে। ‘হু’-এর মতে মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রায় বন্ধ করে ফেলতে পেরেছে কিউবা।