তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর’—এ কথা বলে প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু একটি তালগাছে উঠে বসে হাবিবা খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী। এলাকাবাসী তাকে নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এলাকাবাসীর সহায়তায় তালগাছ থেকে নামায় ওই কিশোরীকে।
গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়নের কুমারকান্দা গ্রামে। হাবিবা ওই গ্রামের সাহেদ আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় কৃষ্ণদিয়া বাকু মৃধা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
তালগাছ থেকে কিশোরীকে নামিয়ে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
তালগাছ থেকে কিশোরীকে নামিয়ে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই কিশোরীকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে তাকে স্থানীয় একটি তালগাছের মাথায় খুঁজে পান। স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ করলে সে নামতে রাজি হয়নি। সে বলতে থাকে, ‘আমি এই তালগাছেই থাকব, তালগাছই আমার বাড়ি, তালগাছই আমার ঘর।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কিশোরীকে ডেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় চার ব্যক্তি তালগাছে উঠে তাকে নামাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুজ্জামান বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই কিশোরীকে নামিয়ে আনেন। তিনি বলেন, গাছে থাকা অবস্থায় কিশোরী কয়েকবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। কিশোরীকে নামিয়ে আনার পর স্থানীয় লোকজন ‘অপশক্তির প্রভাবে এ ঘটনা ঘটেছে’ মনে করে ঝাড়ফুঁক দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, এলাকাবাসী ওই কিশোরীকে তালগাছ থেকে নামাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। উদ্ধারের পর কিশোরী সুস্থ আছে, বাড়িতেই আছে। প্রথম আলো