ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসা বিন শমসেরের বিলাস বহুল গাড়ি জব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
  • ৩১৭ বার

বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের একটি বিলাস বহুল গাড়ি জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি থেকে রেঞ্জ রোভারের গাড়িটি জব্দ করা হয়। নাটকীয়তার এক পর্যায়ে তা জব্দ হয়। এর আগে মুসার গুলশানের বাড়িতে গাড়িটি রাখার কথা নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযানে নামে ওই বিভাগ। এরপর গাড়িটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনার পর চালানো হচ্ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গোচরে আসার পর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিতে বদলে ফেলা হয় রঙ। কিন্তু তাতেও রক্ষা পেলো না। অবৈধ গাড়িটি জমা দিতে সকাল ৮টায় নোটিশ দেয়া হয়। সকালে গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডে মুসার বাড়িতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু পরে গুলশানের বাসা থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়। গাড়িটিতে করে সকালে এক নাতিকে ধানমন্ডির স্কুলে পাঠান মুসা। দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দারা বাড়িতে অভিযান চালানোর পর গাড়িটি আর বাড়িতে আনা হয়নি। নাতিকে অন্য একটি গাড়িতে করে বাসায় আনা হয়। পরে ধানমন্ডির ৬ নম্বর সড়কের ৫১ নম্বর বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। নথিপত্রে গাড়িটির রং সাদা হলেও উদ্ধার করা হয়েছে কালো রঙে।
জানা যায়, কাগজপত্রে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ এ আনার পর ১৩০ ভাগ শুল্ক দিয়ে ভোলা জেলা থেকে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। কাস্টম হাউসের নথি যাচাই করে এই বিল অব এন্ট্রি ভুয়া হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নামে ভোলার বিআরটিএ কার্যালয় নিবন্ধন নেয়া হয় বলে থেকে শুল্ক গোয়েন্দাদের জানানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মুসা বিন শমসেরের বিলাস বহুল গাড়ি জব্দ

আপডেট টাইম : ১১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭

বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের একটি বিলাস বহুল গাড়ি জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডি থেকে রেঞ্জ রোভারের গাড়িটি জব্দ করা হয়। নাটকীয়তার এক পর্যায়ে তা জব্দ হয়। এর আগে মুসার গুলশানের বাড়িতে গাড়িটি রাখার কথা নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযানে নামে ওই বিভাগ। এরপর গাড়িটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনার পর চালানো হচ্ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গোচরে আসার পর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিতে বদলে ফেলা হয় রঙ। কিন্তু তাতেও রক্ষা পেলো না। অবৈধ গাড়িটি জমা দিতে সকাল ৮টায় নোটিশ দেয়া হয়। সকালে গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডে মুসার বাড়িতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু পরে গুলশানের বাসা থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়। গাড়িটিতে করে সকালে এক নাতিকে ধানমন্ডির স্কুলে পাঠান মুসা। দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দারা বাড়িতে অভিযান চালানোর পর গাড়িটি আর বাড়িতে আনা হয়নি। নাতিকে অন্য একটি গাড়িতে করে বাসায় আনা হয়। পরে ধানমন্ডির ৬ নম্বর সড়কের ৫১ নম্বর বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। নথিপত্রে গাড়িটির রং সাদা হলেও উদ্ধার করা হয়েছে কালো রঙে।
জানা যায়, কাগজপত্রে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ এ আনার পর ১৩০ ভাগ শুল্ক দিয়ে ভোলা জেলা থেকে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। কাস্টম হাউসের নথি যাচাই করে এই বিল অব এন্ট্রি ভুয়া হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নামে ভোলার বিআরটিএ কার্যালয় নিবন্ধন নেয়া হয় বলে থেকে শুল্ক গোয়েন্দাদের জানানো হয়।