ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুচ্ছ কারণে ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম করলেন অধ্যক্ষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
  • ৩৩১ বার

কালীগঞ্জ উপজেলায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিচার চেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

মিজানুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম একরামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

আহত ছাত্রীর ভাই রাহয়ানুল কবির জানান, আমার বোন ওই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। গত রোববার আত্মীয়র বিয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিফিন চলাকালীন সময়ে ছুটির আবেদন জানায়। কিন্তু মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তাকে ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে অভিভাবকদের পরামর্শে বাকী ক্লাস না করে বাড়ি চলে আসে। পরদিন সোমবার যথারীতি মাদ্রাসায় যায় রেহানা। এই ঘটনায় ওইদিন টিফিনের পর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আমার বোনকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় একের পর এক বেত্রাঘাতের কারণে মেয়েটির বাম হাতের পিছনের অংশ ও পিঠে অসংখ্য দাগের সৃষ্টি হয়।

জানান, ওই অধ্যক্ষ প্রচণ্ড বদমেজাজি একজন মানুষ। তিনি প্রায় সময়ই ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেন। তার মারধরের কারণে আমার বোন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে জোহরের নামায আদায় করেনি। সে কারণে তাকে কাঠের স্কেল দিয়ে ‘একটু’ মারা হয়েছে। যারা যোহরের নামায পড়ে না তাদেরকে ‘একটু’ মারধর করা হয় মাত্র।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ছাত্রী পেটানোর ঘটনায় একটি অভিযোগ মঙ্গলবার হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তুচ্ছ কারণে ছাত্রীকে পিটিয়ে জখম করলেন অধ্যক্ষ

আপডেট টাইম : ১১:৩২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭

কালীগঞ্জ উপজেলায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিচার চেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

মিজানুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম একরামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

আহত ছাত্রীর ভাই রাহয়ানুল কবির জানান, আমার বোন ওই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। গত রোববার আত্মীয়র বিয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিফিন চলাকালীন সময়ে ছুটির আবেদন জানায়। কিন্তু মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তাকে ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে অভিভাবকদের পরামর্শে বাকী ক্লাস না করে বাড়ি চলে আসে। পরদিন সোমবার যথারীতি মাদ্রাসায় যায় রেহানা। এই ঘটনায় ওইদিন টিফিনের পর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আমার বোনকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় একের পর এক বেত্রাঘাতের কারণে মেয়েটির বাম হাতের পিছনের অংশ ও পিঠে অসংখ্য দাগের সৃষ্টি হয়।

জানান, ওই অধ্যক্ষ প্রচণ্ড বদমেজাজি একজন মানুষ। তিনি প্রায় সময়ই ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করেন। তার মারধরের কারণে আমার বোন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তার বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে জোহরের নামায আদায় করেনি। সে কারণে তাকে কাঠের স্কেল দিয়ে ‘একটু’ মারা হয়েছে। যারা যোহরের নামায পড়ে না তাদেরকে ‘একটু’ মারধর করা হয় মাত্র।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনুর আলম জানান, ছাত্রী পেটানোর ঘটনায় একটি অভিযোগ মঙ্গলবার হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।