কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের এক বছরেও ঘাতকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন তনুর পরিবার। কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে গত বছরের ২০ মার্চ রাতে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
ঘটনার পরপর ঘাতকদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহলসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠলেও ধীরে ধীরে সবই থেমে গেছে। তনুর লাশের দুই দফা ময়নাতদন্ত, মামলার তদন্তকারী সংস্থা, কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও এ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি তনু হত্যা মামলা।
তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে সিআইডির দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে পড়েছি। জানি না বিচার পাব কিনা। সিআইডি কর্মকর্তারা শুধুই বলছেন- তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে এবং ঘাতকরা শাস্তি পাবে। কিন্তু এ পর্যন্ত বিচার পাবো এমন কোনো কার্যক্রম তারা দেখাতে পারেননি।’
এদিকে রোববার দুপুরে টিএন্ডটি ফোন নম্বর থেকে তনুর বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান তনুর মা। তিনি বলেন, ‘একটি সংস্থার নাম বলে জিজ্ঞাসা করা হয়- চাকরি করতে চান কিনা? চাকরি করতে চাইলে চুপ থাকেন। মিডিয়ার সাথে এতো কথা বলার দরকার নেই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং সিআইডি-কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আমরা সন্দেহভাজনদের নিয়ে কাজ করতে পারিনি। ফেব্রুয়ারিতে কিছু কাজ করেছি। তনুর লাশের পাশে পড়ে থাকা স্যান্ডেল, কলম, মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ কয়েকটি জিনিসের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। রিপোর্ট পেলে আরো বেশি কাজ করা যাবে।’