ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারের জেল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ২৫৯ বার

কিশোরগঞ্জে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়দানকারী সুমন দাস (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মো: আক্তার জামীল তাকে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুমন দাস সুনামগঞ্জ উপজেলার মাইজবাড়ি নবীনগর এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা যায়, গত তিনদিন ধরে কিশোরগঞ্জ শহরের আল মোবারক হোটেলে অবস্থান নিয়ে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে টেলিফোনে ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া পাশাপাশি একটি রোগ নির্ণয়কারী মেশিন বিক্রির কথা বলে আসছিলেন।

এজন্য পূর্ব পরিচিত দুই একজনের মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে হোটেলে এনে মেশিনটি বিক্রির জন্য নিয়োগ দেয়ার কথাও বলেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হলে অনেকে রোগী সেজে হোটেলে তার কাছে গেলে সে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার এবং একবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে আরেকবার ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে জানান।
বিষয়টি জেলার সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মো: আক্তার জামীল সুমন দাসের সনদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরে তাকে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক এক বৎসর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারের জেল

আপডেট টাইম : ১২:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

কিশোরগঞ্জে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়দানকারী সুমন দাস (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মো: আক্তার জামীল তাকে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুমন দাস সুনামগঞ্জ উপজেলার মাইজবাড়ি নবীনগর এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা যায়, গত তিনদিন ধরে কিশোরগঞ্জ শহরের আল মোবারক হোটেলে অবস্থান নিয়ে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে টেলিফোনে ও পরিচিতজনদের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া পাশাপাশি একটি রোগ নির্ণয়কারী মেশিন বিক্রির কথা বলে আসছিলেন।

এজন্য পূর্ব পরিচিত দুই একজনের মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েদেরকে হোটেলে এনে মেশিনটি বিক্রির জন্য নিয়োগ দেয়ার কথাও বলেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হলে অনেকে রোগী সেজে হোটেলে তার কাছে গেলে সে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার এবং একবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে আরেকবার ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে জানান।
বিষয়টি জেলার সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মো: আক্তার জামীল সুমন দাসের সনদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পরে তাকে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা মোতাবেক এক বৎসর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।