বয়স ধরে রাখতে কে না চায় বলুন? সুন্দর থাকতে কেউ সালোঁতে যান। কেউ বা আবার স্পা-তে গিয়ে বডি মাসাজ করিয়ে হয়ে উঠেন ফুরফুরে। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয় সৌন্দর্য্য ও বয়স ধরে রাখার জন্যে। দুনিয়াজোড়া সুন্দরীরা আরও কিছু করেন। কেবলমাত্র প্লাস্টিক সার্জারি বা নিয়মিত ফেসিয়ালের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেন না। সঙ্গে চলে আরও ট্রিটমেন্ট!
যেমন, জোঁকের কামড় বা মৌমাছির বিষও শরীরে ঢুকিয়ে নেন অনেকে। হ্যাঁ! যৌবনকে বশে রাখতে এমন ঝুঁকিও নেন তাঁরা।
বিউটি ম্যাচিংয়ের কথা জানেন কি? সঙ্গীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কসমেটিক সার্জারিই এখন ট্রেন্ড। আর এটাই হল বিউটি ম্যাচিং। ২০১৫ সালে এইধরনের সার্জারি ১৫ বার করিয়ে নিজেদের পছন্দের ‘বার্বি’ আর ‘কেন’ হয়ে উঠেছিলেন আমিরশাহির এক
যুগল। খরচ হয়েছিল ২০০০০০ পাউন্ড।
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের মাধ্যমেও ধরে রাখা যায় বয়স, সৌন্দর্য্য। এতে ব্যক্তির হাত থেকে রক্ত নিয়ে তা মেশিনের সাহায্যে জোরে ঘোরানো হয়। তাতে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা হয়ে যায়। এর পর সেই প্লাজমা থেকে প্লেটলেট আলাদা করে তা ফের মুখের ত্বকে ঢোকানো হয়। আর এর ফলে মুখের বলিরেখা গায়েব হয়ে ত্বকের জৌলুস ফিরে আসে। কিম করদেশিয়ানের প্রিয় ফেসিয়াল এটাই।
এছাড়া জোঁকের কামড় বা লিচ ট্রিটমেন্ট করান। এই ট্রিটমেন্টে এক ব্যক্তির শরীর, মুখমন্ডলিতে জোঁক ছেড়ে দেওয়া হয়। জোঁক রক্ত শুষে নেয়। এরফলে শরীর থেকে ডিটক্স রক্ত বেরিয়ে যায়। প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে জোঁকের সাহায্যে দেহের দূষিত রক্ত বের করার প্রথা ছিল। তবে আজকাল যেন এই ট্রেন্ড আরও বেড়েছে।
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল ছাড়াও ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের মতো সুন্দরীরা প্লাসেন্টা ফেসিয়াল করান।ভেড়ার প্লাসেন্টায় এক ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায়। ফেসিয়াল করানোর সময় তা মুখে ইনজেক্ট করা হয়। এতে কোলাজেন উৎপন্ন বন্ধ হয়। আর বয়স কমে যায় ত্বকের
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য ক্যামিলা পার্কার বা কেট মিডলটন থেকে শুরু করে অনেকেই বোটক্সের বদলে মৌমাছির বিষ বা বি ভেনম ফেসিয়াল করান। এতে মুখে একটা ফোলা ভাব আসে। অল্পবয়সি দেখায়।
লন্ডনের এক প্লাস্টিক সার্জেন তৈরি করেছেন সেলেস্টিয়াল স্পেস ক্রিম। ছোট্ট সাইজের ৫০ মিলি লিটার একটি জার ভর্তি এই ক্রিমের দাম ১০৯৫ ডলার। এক বার তা মাখতে শুরু করলে সেই ব্যক্তি থাকবেন চিরনবীন।-এবিপি আনন্দ