প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অনেকটাই বলা চলে, নাসরিন সুলতানার সাথে প্রতারণা এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাজেহালের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন ক্রিকেটার আরাফাত সানি।
আপাতত কাবিননামা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়াশার মধ্যেও সানি-নাসরিনের দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক রাখা এবং সে সম্পর্ক ধরে সাময়িক সংসার করা, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর প্রমাণ মেলার পরও তা অস্বীকার করেছেন সানি। এ কারণেই সানির অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা তদন্তকারীর কাছে মিলেছে।
সানির স্ত্রী নাসরিন, সানির পরিবার ও আইনজীবী এবং তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া সানি ও নাসরিনের বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি পরিবর্তন ডটকমের কাছে এসেছে। সেসব ছবির মধ্যে তাদের থাইল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার ছবিও আছে।
জানা যায়, সানি-নাসরিন বিয়ে করেছিলেন ২০১৪ সালে। তারা দুইজনে থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলেন গত বছরের ২৪-মে এবং ফিরে এসেছিলেন ৩০-মে। সেসময় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফুকেট যাওয়ার পথে বিমানে তোলা সানি নাসরিনের ঘনিষ্ট ছবি তাদের হানিমুনের প্রমাণ দিলেও সানির গ্রেফতারের পর তার
পক্ষ থেকে কোর্টে এবং সানির পরিবার এই যুগলের সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।
তাদের বিয়ের পরবর্তী সময়ের একাধিক ঘনিষ্ট সম্পর্কের ছবিও রয়েছে। যেগুলো রাজধানীর ধানমন্ডির একাধিক বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে তোলা।
সম্প্রতি সানির বিরুদ্ধে করা মামলায় নাসরিন যে কামিননামা দাখিল করেছেন তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর নাসরিন দাবি করেছেন, ওই কাবিননামা মূলত সানি সরবরাহ করেছিলো। তাই সত্যাসত্য জানা তার পক্ষে জানা সম্ভব না। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসার পর নাসরিনের করা আইসিটি আইনে (৫৭ ধারায়) করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার নাসরিন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, মামলা ও অন্যান্য ঘটনাপ্রবহের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। তাই কোর্টে বৃহস্পতিবার মামলার দরকারে যেতে পারেননি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার(আইও) সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
মামলা নিয়ে আপোস করবেন কিনা বা প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সানির পক্ষ থেকে আপোষের প্রস্তাব আসছে। এখন আপোষ হলে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে হতে হবে। তবে আপোষের বিষয়টি ভাবা পরের বিষয়-উল্লেখ করেন নাসরিন।
এদিকে আরাফাত সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমদ বলেন, এসব বিষয়ে তিনি সানির সাথে কথা বলেছেন। সানি স্বীকার করেছে যে ২০১০ সাল পর্যন্ত সানি-নাসরিনের সম্পর্ক ছিলো। সানির দাবি, সে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। পরে সানি বিয়ে করে। বিয়ের পরেও নাসরিন তাকে বিয়ে করার চাপ দেয়।
ছবি সম্পর্কে জুয়েল আহমদের দাবি, সেগুলো সব ২০১০ সালের আগের। তাহলে ব্যাংককের ছবি, হোটেল বুকিংয়ের আগে নাসরিনের দেওয়া বিমানের বোর্ডিং পাস বা ব্যাংককের ভিসার বিষয়ে বক্তব্য কি জানতে চাইলে জুয়েল আহমদ বলেন, আজকাল আধুনিক প্রযুক্তিতে অনেক কিছুই করা যায়। সেগুলো এডিট করা বা পুরানো ছবি নতুন করে কিছু একটা করে প্রকাশ করা হয়েছে।
সানিকে তিনি সকল সত্য তার কাছে খুলে বলতে অনুরোধ করেছিলেন বলেও জুয়েল আহমেদ জানান। এই আলোচিত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট পাবার পর তিনি এ সম্পর্কে সব কিছুই খুলে বলবেন। ফরেনসিক রিপোর্ট দ্রুত আসবে বলেও তিনি আশা করছেন।- সৌজনে পরিবর্তন।