ক্রিকেটার আরাফাত সানির নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তোলপাড় ক্রিকেট পাড়া। রুবেল, শাহাদাত, সাব্বির ও আল-আমিনের পর সানিকে নিয়ে এমন বিতর্ক, অপ্রস্তুত করেছে ক্রিকেট বোদ্ধাদেরও।
ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের ঘিরে এ ধরনের বিতর্ক এড়াতে বিসিবি’র আচরণবিধিতে আরো কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
তুমুল জনপ্রিয়তার স্রোতে নিজেদের ক্যারিয়ারে কালির দাগ ফেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নারী নির্যাতন মামলায় রুবেলের কারাদণ্ড, শাহাদাতের গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা, বিপিএলে সাব্বির ও আল-আমিনের নারী কেলেঙ্কারিতে জরিমানা, আর সবশেষ তথ্য প্রযুক্তি
ও যৌতুক বিরোধী আইনে আরাফাত সানির রিমান্ড।
এমন সব ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের ব্যক্তিত্ব। নৈতিকতা বহির্ভূত কার্যক্রমে আদালতের চৌকাঠ মাড়াচ্ছেন ক্রিকেটাররা। এতে করে বিশ্ব ক্রিকেটে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির।
বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘এমন নয় যে, তারা বয়স ভিত্তিক দলগুলোর খেলোয়াড় বা অবুঝ ছেলে। তারা ভালোভাবেই বোঝে এবং মোটামুটিভাবে সবাই ম্যাচিউরড।
আট দশ বছর ধরে খেলছে তারা। সেভাবেই চলাফেরা করা উচিৎ। জাতীয় দলের এমনকি বাংলাদেশের তারা প্রতিনিধিত্ব করে ফরে এক্ষেত্রে তাদের অনেক সতর্ক হতে হবে।’
দেশের ক্রিকেটে যেন ক্যানসারের মতো হয়ে উঠছে এমন সব বিতর্ক। সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও যেটির আছে নেতিবাচক প্রভাব। বিসিবির আচরণবিধিতে তাই আরো কঠোর হবার তাগিদ বিশ্লেষকদের।
একটু একটু করে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাঠের খেলায় উন্নতির সঙ্গে বাড়ছে ক্রিকেটারদের কদর আর তারকা খ্যাতি। বলা হয়, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দায়িত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা।
আর ক্রিকেটারদের এমন মোহ আর বিগড়ে যাওয়া থেকে প্রতিহত করতে এখনই সতর্ক না হলে, ভবিষ্যতে অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।