ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাম বোরো চাষে কৃষকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭
  • ৩৬০ বার

আগাম বোরো চাষে মাঠে নেমেছেন উপজেলার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ইতোমধ্যেই ১হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আগাম বোরো আবাদ করেছেন চাষিরা। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৪৬ হাজার মে.টন চাল।

উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ১০হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইড ৬হাজার ৭শ’ ৪২ হেক্টর জমি। প্রতি হেক্টরে হাইব্রীড উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৭৫ মে.টন চাল হিসেবে ৩২০২৪.৫ মে.টন চাল।

৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর উচ্চ ফলনশীল বা উফশী জমি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে হেক্টর প্রতি ৩.৮৬ মে.টন চাল হিসেবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪হাজার ৬শ’ ৬৮ মে.টন চাল। উপজেলায় এবছর ১০হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমি চাষে মোট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬হাজার ৬শ’ ৯২ দশমিক ৫ মে.টন চাল।

এছাড়াও ১০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ৩১ মে.টন। ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ৯হাজার মে.টন। ইতোমধ্যেই ১৮০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে।

এবছর উপজেলা সদরে নির্মাণাধীন দু’টি ব্রিজের জন্য দেয়া বাঁধের কারণে সঠিক সময়ে জমি থেকে পানি অপসারণ না হওয়ায় চাষীদের আগাম বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত ওই বাঁধ অপসারণ না করা হলে উপজেলার উরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে রাজিহার ইউনিয়নের সমগ্র এলাকা এবং গৈলা ও বাকাল ইউনিয়নের আংশিক এলাকায় পানি সেচ ব্যাহত হবে। ফলে কাঙ্খিত চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পরবে।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াপদা বেরিবাঁধের ইনলেট-আউটলেটগুলোর মুখ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে চাষীদের সেচ সুবিধা দারুণভাবে বিঘ্নিত হবে। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য বিষয়গুলো উপজেলা পরিষদের সভায় উত্থাপন করবেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আগাম বোরো চাষে কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ০৯:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৭

আগাম বোরো চাষে মাঠে নেমেছেন উপজেলার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ইতোমধ্যেই ১হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আগাম বোরো আবাদ করেছেন চাষিরা। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৪৬ হাজার মে.টন চাল।

উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ১০হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইড ৬হাজার ৭শ’ ৪২ হেক্টর জমি। প্রতি হেক্টরে হাইব্রীড উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪.৭৫ মে.টন চাল হিসেবে ৩২০২৪.৫ মে.টন চাল।

৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর উচ্চ ফলনশীল বা উফশী জমি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে হেক্টর প্রতি ৩.৮৬ মে.টন চাল হিসেবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪হাজার ৬শ’ ৬৮ মে.টন চাল। উপজেলায় এবছর ১০হাজার ৫শ’ ৪২ হেক্টর জমি চাষে মোট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬হাজার ৬শ’ ৯২ দশমিক ৫ মে.টন চাল।

এছাড়াও ১০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ৩১ মে.টন। ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ৯হাজার মে.টন। ইতোমধ্যেই ১৮০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে।

এবছর উপজেলা সদরে নির্মাণাধীন দু’টি ব্রিজের জন্য দেয়া বাঁধের কারণে সঠিক সময়ে জমি থেকে পানি অপসারণ না হওয়ায় চাষীদের আগাম বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত ওই বাঁধ অপসারণ না করা হলে উপজেলার উরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে রাজিহার ইউনিয়নের সমগ্র এলাকা এবং গৈলা ও বাকাল ইউনিয়নের আংশিক এলাকায় পানি সেচ ব্যাহত হবে। ফলে কাঙ্খিত চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পরবে।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াপদা বেরিবাঁধের ইনলেট-আউটলেটগুলোর মুখ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে চাষীদের সেচ সুবিধা দারুণভাবে বিঘ্নিত হবে। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য বিষয়গুলো উপজেলা পরিষদের সভায় উত্থাপন করবেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির