আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজনে সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলমের হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিসকে হেলিকপ্টারে করে আদালতে হাজির করা হতে পারে। ভিকটিমের সাক্ষ্যগ্রহণে আদালত ও শাসক দলের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে খাদিজার শারীরিক অবস্থার ওপর।
খাদিজা এখনও সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপিসি) চিকিৎসাধীন। তার বাবা মাসুক মিয়া বুধবার জানান, সাক্ষ্য প্রদানে ৮ জানুয়ারি খাদিজাকে হাজিরের নির্দেশ রয়েছে আদালতের।
এই নির্দেশের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেটের বিভাগীয় পাবলিক প্রসিকিউটর
অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ খাদিজাকে দেখতে আসেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন হেলিকপ্টারে খাদিজাকে আদালতে হাজির করা হবে।
তবে খাদিজাকে প্রতিদিন যেহেতু ৩ ঘণ্টা করে থেরাপি দেয়া হয়, এ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করা যাবে কি না এ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। তারা বিষয়টি নিয়ে সিআরপিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বলেন, খাদিজা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে, তবে হঠাৎ তার মাথায় পানি জমে যাওয়ায় চিকিৎসকরা চিন্তিত। খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও হাঁটতে গেলে পা কাঁপে, কিছুক্ষণ কথা বললে খেই হারিয়ে ফেলে। আদালতে হাজির করার বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখছেন। এ ব্যাপারে আমাদের পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
১৫ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ভিকটিম খাদিজা বেগম নার্গিসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। তাকে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে ভিকটিমের সাক্ষ্য নেয়ার কথা। এর আগে খাদিজাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিলে চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাকে হাজির করা যায়নি।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য খাদিজাকে আদালতে হাজির করার কথা।